পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७ ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । অতএব ইহা স্বীকার করা যায় যে, আন্তরিক গুণের পরিরর্তনে শরীরের আকৃতির পরিবর্তন হইতে পারে, এবং গুটিপোকাদির ন্যায় কিছু কিছু পরিবর্তন হইতে হইতেই প্রাণিজগৎ ক্রমোন্নতি দ্বারা মনুষ্যজাতিতে পরিণত হইয়াছে। ক্রমোন্নতির প্রণালী । জীবের শক্তি বিষয়ে চিন্তা করিলে দেখা যায় যে মনুষ্য শরীরে আত্মার শক্তি যত অধিক বিকাশিত.এতু আর কোন প্রাণীতেই নাই। অন্যান্য প্রাণী শরীরে জীবের শক্তি ক্রমেই অল্প । মনুষ্যাপেক্ষ পশুতে অল্প, পশু অপেক্ষ। পক্ষীআদিতে অল্প ইত্যাদি । বাস্তবিক মনুষ্য শরীরই আত্মার সম্পূর্ণ শক্তি বিকাশের উপযুক্ত স্থান। শ্রতি বলেন তাভোগামানয়ৎ স্লোনিমিত্তত্ব কথনাৎ মনুষ্যস্যৈব জাত্যন্তরপরিণতি প্রতিপাদক মিদং সুত্ৰং নহি মনুষ্যমন্তরেণ ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম সম্ভব ইতি তদপ্যযুক্তং নাত্র ধৰ্ম্মাদিশব্দেন পুণাপাপাত্মকাঃ সদসৎপ্রবৃত্তিতৎসংস্কার উচ্যন্তে অযুক্ত—ত্বাৎ, কিন্তৰ্বি, জন্মন উৎকৰ্ষাপকর্ষাপেক্ষয়া শুদ্ধাশুদ্ধস্বরূপ তত্তজজা শ্ৰীয় ধৰ্ম্মাদিরেব । নহ্যাত্মারামা-দুৰ্ব্বাসে রামদেবাদয়ে দেবত্বং নাপন্ন। ইতি দেবানামিজাদীন মপেক্ষয় হধৰ্ম্মিকাঃ–কিন্তু দেবধৰ্ম্মস্যাঙ্ক রণদেব ন দেবদেহমাপন্ন। ইতি । “জাত্যন্তর পরিণাম’ এই সুত্রে মিশ্রব্যাখ্যানুসারে মনুষ্যজাতি হইতেই অন্য জাতির পরিণাম বুঝা যায় এবং আরও পাচট যুক্তি মনে হয় যদ্বারা মমুষ্যেরই জাত্যন্তর পরিণাম বুঝায়। কিন্তু ঐ সমস্ত যুক্তি এবং মিশ্রের ব্যাখ্যা যে নিতান্ত অসঙ্গত ও ভ্রান্তিমূলক তাহা পণ্ডিতগণের বুঝিবার নিমিত্ত সংস্কৃতেই লিখিত হইল, অনেক বিস্তার হয় বলিয়া আর বাঙ্গালায় , উহার অনুবাদ করিলাম না, তবে একটা কথা মাত্র অনুবাদ করিতেছি। জাত্যন্তর - এই স্বত্রে স্বয়ং বেদব্যাস “ অন্য জাতীয় পরিণ তানাং” যে কোনরূপে পরিণত দেহাদির অন্যাকারে পরিণতি ছয় ইছা বলিয়াছেন, তবে বাচস্পতি মিশ্র মনুষ্য ’ শব্দ কোথায় পাইলেন ? অন্য জাতীয় বলিলে কি মনুষ্যজাতি বুঝায় ? -