পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wరిపి ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । ধৰ্ম্মের উন্নতি অবনতির স্বরূপ । এক্ষণে জিজ্ঞাস্য এই যে, যদি ধৰ্ম্মের স্ফুরণ হইয়াই শীরের গঠন হইয়া থাকে তবে আর তাহার উন্নতি কি, আর কি প্রকারেই বা অবনতি হইবে ? শীর গঠনকালে সকল ধৰ্ম্মের স্ফুরণ হয় ন! আবার যাহাদিগের স্করণ হয় সেও কেবল অঙ্কুর মাত্র। উহা সম্পূর্ণ বিকাশের অবস্থা নছে। জন্মের পর লব্ধবয়স্ক হইয়া বিহিত অনুষ্ঠান করিলেই ধৰ্ম্মের পূর্ণ বিকাশ অবস্থ হয় সেই পূৰ্ব্বকার অস্কুর সকল শাখাপল্লবাদি দ্বারা পরিশোভিত হয় । আর যদি বিহিত অনুষ্ঠান না করা যায় তবে ঐ অঙ্কুরগুলি ক্রমে ক্রমে পিনষ্ট হইয়া যায়। বাস্তবিক ধৰ্ম্মের অস্কুব মাত্র থাকিলেও কোন কাৰ্য্য হয় না। ধৰ্ম্মশক্তিগুলির যতই বারম্বার অনুশীলন, বারম্বার উদ্দীপন করা হয়, ততই উহার দৃঢ়তর সংস্কার হইয়। আত্মাতে অবস্থিতি করে। এমন কি, ঐ সংস্কার বলে ভবিষ্যতে কেবল ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তিই সৰ্ব্বদা উত্তেজিত হইতে থাকে। ইহার নাম ধৰ্ম্মের উন্নতি । আর ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তির অনুশীলনে যতই শৈথিল্য ততই উহার উদ্দীপন কম হইবে, ততই উহা ক্রমে ক্রমে বিরল হইবে, এমন কি, ভবিষ্যতে আর नझ्ट्व cछठे चाब्रां७ ধৰ্ম্ম প্রবৃত্তির উদয় হইতে পারে না । কেবল অধৰ্ম্মপ্রবৃত্তিরই আধিপত্য । ইহার নাম ধৰ্ম্মের অবনতি বা ক্ষয়. যে যে উপায়ে ধৰ্ম্মের উন্নতি ও ক্ষয় হয় তাছা পরে দেখাইব । এক্ষণে দেখ। যাউক ধৰ্ম্মের ক্ষয় ও বৃদ্ধিতে আমাদের কি কি অনিষ্ট ও ইষ্টলাভ হইতে পারে। যে যে অনিষ্ট ও ইষ্টলাভ নিতান্ত স্থলদশী লোকেও বুঝিতে পারেন এবং ভয়ানক নাস্তিকগণও অবশ্য স্বীকার করিবেন সেই সেই দোষগুণগুলি আলোচনা করাই প্রথম আবশ্যক। পরকালের অনিষ্ট ও ইষ্টলাভ পরে বুঝাইব । ধৰ্ম্ম ক্ষয়ে মনুষ্যের অসম্পূর্ণতা ও ধৰ্ম্মসঞ্চয়ে পূর্ণতা। ধৰ্ম্মের ক্ষয় হইলে আমরা অসম্পূর্ণ হই অর্থাৎ আমাদের মনুষ্যত্বের সম্পূর্ণত থাকে না। পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে যে একমাত্ৰ ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তিগুলি