পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । ৩৭ হয় সুতরাং আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয় সকল প্রকার পরিবর্তনে অভ্যন্ত হওয়ায় সম্যক বিকসিত ও সম্পূর্ণ হইবারই কথা। কিন্তু যে দেশে কেবল শীত গ্রীষ্ম বৈ আর ঋতু নাই, সে দেশের লোকের ইক্রিয় সকল কোথা হইতে এরূপ সম্পূর্ণতা লাভ করিবে? বসম্ভের মৃদ্ধ মধুর তাপ গ্রীষ্মের তীব্র তাপ, শীতের মিঠুনি তাপ, শাতের থরহরি কম্প—আমাদের শরীরের স্পৰ্শন শক্তি এই সকল প্রকার পধিবৰ্ত্তন স্বহা করিয়া সম্যক উন্নতি লাভু করিয়াছে। কিন্তু যে দেশে ঋতুর মধ্যে শুধু শীত আর গ্রীষ্ম সে দেশের লোকের স্পৰ্শন শক্তি কোথা হইতে সম্যক্ উন্নতি লাভ করিবে ? আবার দেখ ভারতবাসীর শ্রবণ শক্তি যত তীক্ষ হইবে ইমরেজ বল ফরাসী বল তাহাদের শ্রবণ শক্তি কখনও সেরূপ তীক্ষ হইতে পারে না। এই শ্রবণশক্তির সম্পূর্ণতাতেই ভারতে সঙ্গীতশাস্ত্রের এত উচ্চ উন্নতি। ছয় ঋতুর পরিবর্জুনে স্বর্ষ্যের আলোক কখন অধিক, কখন অল্প। এইরূপ আলোকের ভিন্ন ভিন্ন রকম পরিবর্তন যাহাদের চক্ষুর উপর প্রতিনিয়ত আঁধিপত্য করিতেছে, তাহাদের চক্ষুর সহিত শুধু শীত গ্রীষ্মপ্রধান দেশের লোকের চক্ষুর তুলনাই হয় না। এ ছাড়া ভারত যেমন স্বভাবের সৌন্দর্ঘ্যের একমাত্র ভাণ্ডার, প্রকৃতির এরূপ ভাণ্ডার পৃথিবীতে আর কোথায় ? হিমগিরির মত রত্ব গিরি ধরাধামে আর কোথায় ? হিমালয় দেখিলে নয়ন স্বার্থক, তাহার প্রকাগুত্ব ভাবিলে হৃদয় প্রকাণ্ডত্ত্বের দিকে ধাবমান হয়। আবার এদিকে কলনদিনী নিঝরিণী, সুরম্য বন উপবন, বৈশাখে বিদ্যুদম চকিত মেঘমালা, বসত্তের স্বকোমল কুসুমোদগম, এসকল সৌন্দর্ঘ্যে চক্ষুর শিক্ষা, ও মনের শিক্ষ, হৃদয়ের শিক্ষা প্রভৃতি ভারতে যত সম্পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়, শীতপ্রধান যুরোপ, গ্রীষ্মপ্রধান আফ্রিকায় সে প্রকার সম্পূর্ণতা লাভের তত সম্ভাবনা নাই । আরও দেখুন, যে, ইন্দ্রিয় থাকাতে মনুয্যের এ উন্নতি, এ সভ্যতা এ সমাজ, সেই বাগিক্ৰিয়ই অন্য দেশে কত অসম্পূর্ণ। ভারতবাসীর জিহবা অনতিস্থল-প্রভেদ সম্পন্ন, যতপ্রকার উচ্চারণ সম্ভবে, জন্য দেশবাসীর জিহবায় তাহা এক বারেই অসম্ভব। ভারতে ছাপ্পাল্পটি বর্ণে ভাষা, ইউরোপে পচিশ, ছাব্বিশ টর অধিক নহে । * 彰 बदनिस्तःবিশ্বাস আছে, চীন ভাষায় বর্ণসংখ্যা অপেক্ষণাত অধিক