পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন । বহুদিন পরে বুঝি আবার ভারতের দুঃখ পূর্ণ ভাগ্য প্রসন্ন হইল। আবার বুঝি ভারতগগনে পবিত্র হুধাকরের নিৰ্ম্মল জ্যোতি বিকীর্ণ হইয়া পড়িল। বহুযুগ ধরিয়া নিদ্রাভিভূত ভারত সন্তান, আৰ্য-সন্তান পুনরায় দেখি চক্ষুরুন্মীলন করিতেছেন। আপনাদের প্রশষ্ট গৌরব পুনরুদ্ধারের নিমিত্ত হৃদয় বধিয়া বদ্ধ পরিকর হইয়া প্রাণপণে চেষ্টা করিতেছেন। ইহা অপেক্ষ আবার ভারতবাসীর পর সৌভাগ্যের বিষয় কি হইতে পারে । পুনরায় আর্য্যসম্ভানের হৃদয়ে প্রবল ধৰ্ম্মানুরাগ, উদ্যম, ও উৎসাহ অল্পে অল্পে সঞ্চারিত হইতেছে দেখিয়া কার প্রাণ •আনন্দে না । মাতিয়া উঠে। আজ চারি মাস ধরিয়া ফেকুল ধৰ্ম্মদোলনে ভ্যুতবর্ণ আলোড়িত হইল, আবালবৃদ্ধ-বনিতা আপনাদের সমূহ ক্ষতি করে কিছুমাত্র কুষ্ঠিত না হইয়া, ঝড় বৃষ্টি ক্ৰক্ষেপ করিয়া নিশ্চল ভাবে জনতা মধ্যে দণ্ডায়মান হষ্টয়া, উৎসুকচিত্তে যে পণ্ডিতশ্রেষ্ঠ ঐযুলু শশধর তর্কচূড়ামণির অমৃতময়ী, জ্ঞানপূর্ণ, সারগর্ভ ধৰ্ম্মব্যাখ্যা শ্রবণ করিল, ইহা দেখিয়া কোন ধৰ্ম্মানুরাগীর হৃদয়ে আশীর সঞ্চার না হয় ? বর্তমান সময়ে ভারতসন্ততিগণ এই পবিত্র অনুষ্ঠানের গুরুত্ব অনুভব করিতে কতদূর সমর্থ হইবেন তাহা জানি না, কিন্তু ইহা নিশ্চয় বিশ্বাস যে ভবিষ্যদ্বংশীয়ীেরা ইহার আশানুরূপ শুভ ফল সম্ভোগ করিয়! আপনাদের কতীর্থ জ্ঞান করিবেন ইহাতে কোন মাত্র সংশয় নাই। কিন্তু এই আন্দোলন স্থায়ীরূপে রক্ষিত করিতে হইলে পণ্ডিতবর ত্রযুক্ত তর্কচূড়ামণি মহাশয়ের বিবৃত ব্যাখ্যা সমুং গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হওয়া নিতান্তু প্রয়োজন। কারণ তাহা হইলে ধৰ্ম্মানুরাগী ব্যক্তি মাত্রেরই স্থিরচিত্তে শান্তভাবে ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে ধৰ্ম্মানুশীলন করিয়া অদমুযায়ী কাৰ্য্য করিতে বিশেষ সুবিধা হইবে। নচেৎ যদি এই ঘোর আন্দোলন • কেবলমাত্র বৃক্ততাদিতেই পৰ্য্যবসিত হয়, তাহা হইলে অচিরেই ইহা অতীতের কাল গর্ভে চিরদিনের জন্য বিলুপ্ত হইয়। যাইবে । এই সমস্ত চিম্বা করিয়া আমি পণ্ডিতবরের সমস্ত ব্যাখ্য। ভাষ্ঠীর অনুমতানুসারে ক্রমে ক্রমে খণ্ডাকরে প্রকাশ করিতে কৃতসংকল্প হইয়াছি। তিনি স্বয়ং অনুগ্রহ