পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰল । সেই শক্তি অস্বাভাবিক, ইহা দেহের নহে, ইহা স্বতন্ত্র ও পৃথক ; ইহা বিশেষরূপে বুঝান বাইতেছে। . ষে যে পদার্থের দ্বারা শরীরের অস্থিসমূহের নির্মাণ হয়, সেই সেই পদার্থের পরম্পরে একটি রাসায়ন আকর্ষণশক্তি আছে, সেই শক্তির দ্বারা ঐ সকল পদার্থ গুলি রাসায়নিকভাবে মিলিত হইয়া,অন্থিগুলি গঠিত হইয়াছে। মৃত্যুর পরেও যখন অস্থিগুলি আস্ত থাকে, তখন এই শক্তিও থাকে, ইহা বলিতে হইবে; নচেৎ মৃত্যুর পর অস্থিগুলিকে আস্ত রাখিবে কে ? এই প্রকারের রাসায়ন আকর্ষণ সকলজড়পিণ্ডের মধ্যেই দৃষ্ট হয়, কেবল প্রাণী শরীরে নহে। অতএব এই রাসায়ন শক্তিটি দেহের স্বাভাবিক। এইরূপ মাংস, মজ্জা, স্নায়ু, অন্ত্র, নাড়ী, শিরাদির মধ্যেও রাসায়ন আকর্ষণশক্তি আছে, তাহাও স্বাভাবিক। কারণ, মৃত্যুর পর, বহুদিন ন হইলেও, কিছু সময় পৰ্য্যস্ত মাংস মজাদি দেহাবয়বগুলি আস্ত থাকে । শরীরের প্রত্যেক অবয়বের মধ্যে একপ্রকার অপসারণশক্তিও আছে, সেই শক্তিদ্বারা শরীরের অংশ সকল বাম্পাদি অপেক্ষাও অতিসূক্ষ্মতায় পরিণত হইয়া, চারি দিকে উড়ীয়া যাইতেছে—তদ্বারা অনবরত শরীরের ক্ষয় হইয়া থাকে; সেইটিও দেহের স্বাভাবিক শক্তি। এইটি তাপশক্তি। এই দুই প্রকার স্বাভাবিক শক্তিকে দেহের গুণ বা ধৰ্ম্ম বলিয়া বুঝিলেও বিশেষ হানি নাই । এখন অস্বাভাবিকশক্তির কার্য্যও দেখ —মনে কর, তোমার শরীরট যেন শয়িত ও নিদ্রিত ভাবে আছে, কিন্তু নিদ্রিতাবস্থায় থাকিলেও শরীরের রাসায়ন-আকর্ষণ এবং অপসারণ শক্তি (তাপ) এতদুভৃয়ে অবশুই আপন আপন কাৰ্য্য করিতেছে। ইতিমধ্যে যেন তুমি হঠাৎ জাগ্ৰং হইয়া গাত্ৰোখানপুৰ্ব্বক গৃহের বাহিরে চলিলে ; এখন এই যে গাত্ৰোখান হওয়া এবং গৃহের বাহিরে বাওয়া, ইহা অবশুই একটি শক্তির কার্য্য ; শক্তি ব্যতীত এই জড় দেহকে পরিচালিত করিবে কে ? কিন্তু তুমি যখন শয়িত ছিলে, তখন এই শক্তিটা ছিল না, কেন না, তখন এই শক্তিটি থাকিলে তোমার দেহটা খস্থিত থাকিতে পারিত না, উহা তখনও উখিত ও পরিচালিতই হুইত, অতএব এইটি একট আগন্তক শক্তি,-ক্ৰোধান ইহতে ধেন এক গুপ্ত আগঙ্কক শক্তি আসিয়া তোমার এই ১ মণ ভারী শরীরটাকে ঠেলিয়া