পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । [चिउँौग्न স্বৰ্য্যাদিতেই পরিব্যাপ্ত ও অতি সম্বন্ধ থাকে, ত্বৰে সেই আকর্ষণ শক্তির সঙ্গে পৃথিব্যাদির সহিত কোনরূপ সংযোগ হইতেছে না, অতএব স্বৰ্য্য পৃথিবীকে, পৃথিবী চন্দ্রকে এবং উত্তর দক্ষিণ কেন্দ্র চুম্বকলৌহকে কদাচ টানিতে পারে না। । - - কিন্তু যদি স্বীকার করা যায় যে “অাকর্ষণ শক্তিই সকল স্থানে পরিব্যাপ্ত ভাবে রহিয়াছে—থাকিয়া সৌরপরমাণু গুলিকে একত্র পুঞ্জায়মান করিয়া রাখিয়াছে, পৃথিব্যাদি জড়পিণ্ডগুলিকেও সেই খানেই মিশাইবার চেষ্টা করিতেছে; এবং সেই ব্যাপক আকর্ষণ শক্তিই চুম্বকগোঁহকে পৃথিবীর প্রাস্তদ্বয়ে মিশানের চেষ্টা করিতেছে ” ইহাতে উক্ত দোষ থাকিবে না। কিন্তু ইহা অতি গুরুতর ও শক্ত বিষয়, ইহা উত্তম রূপে বুঝাইতে অনেক কথার আবশ্যক ; অতএব এই গুরুতর বিষয়ের বিশেষ উদঘাটন না করিয়া, অন্য প্রকারেও তোমাকে প্রকৃত বিষয় বুঝাইতে চেষ্টা করিতেছি। কিন্তু এই বিষয়টিও যেন মনে থাকে। - দেহের মধ্যে দুই প্রকার শক্তি ক্রিয়া করে। আমাদিগের দেহের মধ্যে দুই জাতীয় শক্তির ক্রিয়া হইতেছে, তাহার এক জাতীয় শক্তি স্বাভাধিক, অপর জাতীয়টা অস্বাভাবিক। এতদুভয়ের মধ্যে স্বাভাবিক শক্তিটি লইয়া, আমাদের এখানে কোনই কথা নাই, তাহাকে দেহের প্রত্যেক পরমাণুর ধৰ্ম্ম বলিলেও এখানে বিশেষ কোন ক্ষতি নাই। কিন্তু অস্বাভাবিক শক্তি লইয়াই কথা, সেইটাকেই আমরা স্বাধীন —স্বতন্ত্র ও দেহ হইতে সম্পূর্ণ পৃথক বলিতেছি এবং তাহাকেই জীবাত্মার শক্তি বলিয়াছি, স্বায়ুপথে তাহারই গতায়াত হওয়ার কথা বলতেছি। শিষ্য। স্বাভাবিক আর অস্বাভাবিক শক্তি বিশেষ করিয়া বলুন। । আচাৰ্য্য। ষে শক্তি মৃত্যুর পরেও দেহের উপর ক্রিয়া করে এবং প্রা+ি শরীর ব্যতীত সাধারণ জড়পিণ্ডে ও যাহার ক্রিয়া আছে, তাহ স্বাভাবিক শঙ্কি, ইহ দেহের শক্তি। আর ক্ষে শক্তি মৃত্যুর পরে কার্য্য করে না, প্রশিষ্ট্র ব্যতীত অঙ্ক জড়পিণ্ডে যাহারক্রিয়া নাই, এবং যে শক্তি উক্ত স্বাভাবিক শক্তির উপর আধিপত্য করত, তাহার বিরুদ্ধেও ক্রিয়া করে,