( : فدة لا ) অবস্থা পরিবর্তিত হয়, যেমন বায়ুর প্রকৃতি একরূপ হুইলেও স্থানবিশেষে তাহা পরিবর্তিত হুইয়৷ থাকে, সেই রূপ মনুষ্য মনের গতি ও ধারণ শক্তিও সময়ে সময়ে পরিবৰ্ত্তিত ও পরিবৰ্দ্ধিত হইয়া থাকে । সুতরাং পিতা মাত৷ পূৰ্ব্বপুৰুষ ও দেশকাল প্রভৃতির অবস্থানুসারে মনুষ্য জাতির মধ্যেও কেহ স্ববুদ্ধি, কেহ কুবুদ্ধি, কেহ তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, কেছ জড়, কেহ বাকৃশক্তি হীন, কেহু শ্রীতিশক্তি হীন ইত্যাদি রূপে রূপান্তরিত ও ভাবান্তরিত হইয়। এই পৃথিবীতে জন্মে। এই সকল কারণে ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় গৃঢ় মর্যগুলি শিক্ষা ব্যতীত সকলের মনে নির্দেষরুপে স্বতঃ বিষ্ফরিত হওয়া অসম্ভব । যাহাও কিছু সম্ভব, তাহাও স্থান, শৈশবাদি অবস্থা ও সংসর্গ দোষে কাৰ্যকর হইতে পারে না ; এবং চিন্তাশালত ব্যতীত তর্ক বিষয় মীমাংসিত হইতে পারে না। উপযুক্ত লোকের নিকট উপবিষ্ট হইলে ঐ সকল জটিল দুরূহু বিষয় অল্প পরিশ্রমে, অল্প আয়াসে ও অলপ চেষ্টায় আয়ত্ত হইতে পারে। অতএব ধৰ্ম্ম বিষয়ে শিক্ষা পদ্ধতি থাকা অবশ্যক। শিক্ষা পদ্ধতি থাকিলে উপযুক্ত শিক্ষক থাকাও চাই । র্যাহার এই শিক্ষণ কর্ষ্যের ভার গ্রহণ করেন সাধারণ ভাবে তাহাদিগকেই গুৰু বা আঞ্চ চাৰ্য্য বলা যায়। আপাততঃ আমরা এই শব্দটা সাধুচরিত্র সদনুষ্ঠায়ী উপদেষ্ট মানবদিগের প্রতি ব্যবহার করিয়া থাকি। বস্তুতঃ উন্ন মনুষ্যের প্রতি তেমন খাটে না।
