পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ •રર ) যোগ দিয়া চিন্তা করা যায়, যদি সেই আদিম কাল হইতে ইহার পরিবর্তনের বিষয় এক একটা করিয়া পাঠ করা যায়, তাহ হুইলে বুঝা যাইবে, মানবন্ধৰ্ম্মে বৈষম্যদোষ এক মুহূৰ্ত্তও তিষ্ঠিতে পারে না। অথচ মনুষের কচির অনুরোধে তাছাতে পুনঃ পুনঃ বৈষম্যদোষ প্রবেশ করে, সুতরাং পূৰ্ব্বোক্ত প্রশ্নও বিরাম পাইতে পারে না। যদি ভাবি, মনুষ্য ধৰ্ম্ম সাধন করে কেন ? মানব জাতি তৃষ্ণাতুর পথিকের ন্যায় ধর্থের জন্য লালায়িত ছয় কেন ? তবে দেখিতে পাইব ধৰ্ম্ম মনুষ্যের প্রকৃতি, প্রকৃতি ছাড়িয়া কেহ থাকিতে পারে না এইজন্য মনুষ্য ধৰ্ম্ম সাধন করে। দয়া একটা প্রাকতিক বিষয়। এজন্য যে ব্যক্তি চিরকাল পর শোণিত শোষণ, করিতে নিযুক্ত, যে ব্যক্তি চিরকাল পরের সর্বশ্বমোষণে তৎপর, সেও দয়ালু ব্যক্তির প্রশংসা করে এবং দয়ার কার্য্য দেখিলে সন্তোষ প্রকাশ করে । জিতেন্দ্রিয়তা প্রাকতিক, ব্যভিচার অপ্রাকতিক । যে পরদরনিরত পাপিষ্ঠ চিরকাল আপনার ও অন্যের কুল কলঙ্কিত করিয়া মালিতেছে, সেও জিতেন্দ্রিয় সাধুর প্রতি শ্রদ্ধা দান না করিয়া থাকিতে পারে না। সত্যপ্রাকৃতিক, অসত্য অপ্রাকৃতির্ক। যে আজীবন অসত্য কথন ও অসত্য ব্যবহার দ্বারা সমাজের কণ্টকস্বরূপ হইয়। আছে, ক্ষেও সত্যপরায়ণ উদার ব্যক্তির প্রতি অনুরাগ প্রকাশ করে, এবং নিজে, কদৰ্য্যচর্য হুইয়াও অপরকে