পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( > ) বর্জিত ব্রাহ্মণগণ প্রতিদিন ত্রিসন্ধ্য যে গায়িত্রী মাত্র পাঠ করেন, দুই এক জন পণ্ডিত ব্যতীত কেহই তাছার অর্থ জানেন না। কোরাণের যে অংশ মুসলমানগণের দৈনিক পাচ বারের পাঠ্য, অধিকাংশ মুসলমান তাহার ভিতরের ভাব বুঝেন না, কেবল শুকপক্ষীর মত শিক্ষিত কথা কটা পাঠ করিয়া থাকেন। এই সকল গ্রন্থ যদি অপোকষেয় হুইত, তবে তাছা শব্দ ও অক্ষর বর্জিত ঐশী ভগযায় হইত, কোন দেশীয়ের পক্ষে দুৰ্ব্বোধ্য হইত না । শব্দ ও অক্ষর বর্জিত লিপি অসম্ভব, অপৌৰুষেয় গ্রন্থও সুতরাং অসন্তৰ । অতএব ইহা বলিতে পারা যায় যে ঐ সকল ধর্মগ্রন্থের যখন পরম্পরে মতের মিল নাই, যখন মান কারণে তাছার নর্থরতা প্রতিপন্ন হইতেছে, উহ। শিক্ষণ করা নিজের ও অপরের বহু আয়াসের প্রতি নির্ভর করে, তখন ঐ সকল গ্রন্থকে কোন ক্রমেই অপৌৰুষেয় বা নিত্য বলা যায় না । তবে সাধকেরা যাহা হৃদয়ে প্রত্যদেশ রূপে লাভ করিয়াছেন তাহা ঐ সকল গ্রন্থে আছে এবং মনুষ্য ভ্রমসঙ্কুল এ জন্য তাছাদিগের ভ্রমও তৎসহ মিশ্রিত হইয়া আছে, এই মাত্র বলিতে পারা যায় । , পাঠক ! মনে মনে বিরক্ত হইতেছ ? তুমি ভাবিত্তেছ, আমি পূৰ্ব্বতন আচাৰ্যগণের নিকট অরুতজ্ঞ বলিয়া পরিচিত হইতেছি, তাছা মছে। তুমি ভাবিয়া দেখ, আমি ভাগদিদের সন্মান অপনয়ন করিতে চেষ্টা করি নাই। ૪૨