পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ২৯ ) পারে না । উপাসনা ব্যতীত, প্রগাঢ় যোগশীলতা ব্যতীত •জাদেশ প্রাপ্ত হওয়া অসম্ভব । আদেশ না পাইলেও বিবেক অপরাজেয় প্রভাবে কাৰ্য্য করিতে পারে না। যদি মনুষ্য হইয়া কাৰ্য্যাকাৰ্য্য বিষয়ে ভ্রান্তি জন্মিবার সম্ভাবনা রহিল, তৰে .মনুষ্য হুইয়। আর ফল কি দর্শিল ! উপাসনার প্রয়োজনীয়তাসম্বন্ধে এইরূপ আরও অনেক হেতুবাদ প্রদর্শিত হইতে পারে, কিন্তু বহতর হেতু দর্শাইতে গেলে নিরর্থক প্রস্তাৰ বৃদ্ধি হইয় পড়ে। যিনি বস্তুতঃ ধৰ্ম্মের জন্য ঈশ্বরের জন্য লালাস্থিত, তাহার বুঝিবার ইচ্ছা স্বভাবতই প্রবল । সুতরাং হেতু অল্প হইলেও তিনি অবশ্যই উপাসনার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার-করিবেন ; এবং অতি সহজে বুঝিবেন সে উপাসনাই মনুষ্য জীবনের একমাত্র অর্কুলম্বন, উপাসনাই মনুষ্যাত্মার অন্নপান। শরীর যেমন অন্নপান ব্যতীত ক্রমে ক্রমে ধ্বংস পায়, আত্মাও সেইরূপ উপাসনাবিহীন হইলে ক্রমে বিনাশ প্রাপ্ত হয় । শরীর যেমন অন্নপান দ্বারা সুস্থ ও সবল হইতে থাকে, আত্মাও সেইরূপ উপাসনা দ্বার। সুস্থ ও সবল হইয় উঠে। শরীর সুস্থ থাকিলে যেমন সহজে ক্ষুধা তৃষ্ণ জন্মে, সহজে ক্ষুধা তৃষ্ণ জন্মিলে যেমন অন্নপানের প্রক্তি তুঙ্গর রুচি থাকে, সেইরূপ আত্মা হস্থ ও প্রকৃতিস্থ থাকিলেই আপন অভাব অতি সহজে বুৰিতে পারে। অভাব বোৰ খাৰুনেই প্রতিদিন প্রতিমুহূৰ্ত্তে উপাসনা করিতে প্রবৃত্তি জন্মে। উপাসনা একদিন কি দুই দিছে আন নহে?