পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( A ) দেবত্ব মনুষ্যস্থদয়ে অধিকার পাইবে কি রূপে ? এই সময়ে মনুষ্য বুঝিতে পারিল, ঐ সকল বাস্তুবিক দেবতা নছে, উছার জড়। তবে তাহার কার্য্য করে কি রূপে ? অগ্নি কত পুঞ্জ পুঞ্জ তৃণ কাষ্ঠ অবলীল ক্রমে ভস্ম করিতেছে ; বক্তৃ নিপতিত হইয়া কত মহা বৃক্ষ ও প্রাসাদ- " মালা চূর্ণ করিতেছে ; সমুদ্রের জল বিক্ষুদ্ধ হইয়া কত গ্রাম নগর ও পৰ্ব্বত পর্যন্ত প্লাবিত করিয়া ফেলিতেছে, এ সকল কাৰ্য" ইচ্ছ। ওঁ কর্তৃত্ব না থাকিলে কিরূপে হয় ? তখন অনেক তর্ক যুক্তির পর স্থির হইল যে, প্রত্যেক বস্তুতেই এক একটা কার্যকরী শক্তি আছে। সেই শক্তির বলে কাৰ্য সকল সম্পন্ন হইতেছে। যেমন জলের শীতলত অগ্নির দাছিক শক্তি ইত্যাদি | এইরূপ মধ্যবস্থায় বহুলপরিমাণ বহুদর্শনের পর “শক্তি’ কল্পিত ছয় । কোমত এই জন্য ইহাকে দার্শনিক, কাল্পনিক ও শক্তিমূলক আখ্যা প্রদান করিয়াছেন । কিন্তু মনুষ্যের উন্নতিশীল জ্ঞান ইহাতে তুপ্ত থাকিতে পারে না । কেননা এরূপ সিদ্ধান্তে কোন প্রকৃততত্ত্ব জানা যাইতে পারে না। অগ্নির দাছিক শক্তি আছে, সেই জন্য সে তৃণ কাষ্ঠ প্রভৃতি দগ্ধ করিতে পারে, ইহাতে জ্ঞানের তৃপ্তি হইল কৈ ? অগ্নিত কোন পদার্থ নছে। অবশ্য.কোন নিয়মানুসারে অগ্নির উৎপত্তি হয় এবং দাছিকা,শক্তি সেই নিয়মের ফল। অতএব মধ্যাবস্থার