পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 8१ ) .তিনি পারেন। যাহার মঙ্গল ভাব অসীম, তাহার দয়া কোন নিশ্চিত সীমার মধ্যে থাকিতে পারে না। র্যাহার দয়া অসীম, তাহার নিকট আমাদিগের কৃত দুষ্কৰ্ম্ম যে পরাজিত হইবে, তাহার আর সন্দেহ কি ? কেন না দুষ্কৰ্ম্ম অসীম নহে অনেক ; কিন্তু ঐশী দয়া অসীম । উপাস্য অদ্বিতীয় । অদ্বিতীয় কি ? যাহার আর দ্বিতীয় অর্থাৎ প্রতিযোগী বস্ত নাই। উপাস্যের একত্ব না থাকিলে উপাসক এক দিকে নিবিষ্ট চিত্ত হইয়া স্থির ভাৰে অবস্থান করিতে পারে না । পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে, উপাস্যের সৌন্দর্ঘ্য ও উপাস্যের অসীম জ্ঞান অসীম মঙ্গল ইচ্ছা দৰ্শন করিয়া যে লোভ জন্মে, সেই লোভ দ্বারা পরিচালিত হইয়াই উপাসক উপাসনা করিতে প্রবৃত্ত হয় । সেই লোভই উপাসকের নেতা, কিন্তু সেই গু৭ সকল যদি বহু পাত্রে বিভক্ত হইয়া পড়ে, তবে কোন অংশ আশ্রয় করা উচিত, উপাসক তাহ নিশ্চয় করিতে পারে না। কেন না উপযুক্ত পাত্র ব্যতীত, ক্ষমতাবান ও শক্তিমান প্ৰভু ব্যতীত অন্য কেহ পরিত্রাণ আনিয়া দিতে পারে নু । বিশেষতঃ একটি পাপীর বহু পরিত্রাতা, এক পৃথিবীর বহু অষ্ট, এক স্বর্ষ্যের বহু নিয়ামক বড়ই অসম্ভব। এই জন্য পূৰ্ব্বোক্ত গুণসকল দ্বিধা ত্রিধ বিভক্ত হইতে পারে না । ঐ সকল গুণের বিভাগ কল্পিত হইলে উপসকের চাঞ্চল্য দূর হইতে পারে না। চাঞ্চল্য থাকিলে, মনের