পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ¢१ ) অপরিহার্ঘ্য সম্বন্ধ আছে। ইক্রিয়গণের মূলে মনোযোগ না থাকিলে ইহারা আপন চেষ্ট্র দ্বারা কোন বিষয়ে কৃতকাৰ্য্য হইতে পারে না। এই জন্য প্রাচীন পণ্ডিতগণ মনকে ষষ্টেক্রিয় ও অন্যান্য ইক্তিরের প্রবর্তৃক বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। ফলতঃ মন চেতনাশক্তি। এই চেতনাশক্তিই আত্মা, জীব বা আমি । মন ও ইন্দ্রিয়েয় যোগ আমাদিগের মঙ্গলের জন্য হইয়াছে। ইহাদিগের পরস্পর সম্বন্ধের দ্বারা যে করুণার ভাব হুচিত হইয়াছে, তাহ পরাক্রমের সহিত আমাদিগের কৃতজ্ঞতা আকর্ষণ করে । আমরা চিন্তা কুরিলে অতি সহজেই বুঝিতে পারি যে, কৃপানিধান পরমেশ্বর এই সকল অপূৰ্ব্ব ভূষণ প্রদান করিয়া আমাদিগকে অত্যন্ত সুখী কব্রিয়াছেন । ইন্দ্রিয়বিহীন মনুষ্য যেরূপ কৃপাপাত্র, ভাহা কাহারও অবিদিত নাই । জগতে যন্ত শিক্ষণীয় বিষয় ও কর্তব্য কৰ্ম্মসকল আমাদিগের নির্দিষ্ট আছে, ইক্রিয় অভাবে আমরা তাহ আয়ত্ত করিব, এ কথা মনে করিতে পারি না। কিন্তু ঐ সকল ইস্ক্রিয়ও অন্ধ প্রকৃতি হইতে জন্ম গ্রহণ করিয়াছে। এ জন্য উহারাও অন্ধ । অন্ধত বশতঃ ইহারা বিষয় ও কৰ্ম্মের প্রয়োজন বুঝে না এবং তদনুযায়ী পরিমাণ রক্ষণ”করিতেও পারে না , হুতরাং ইহাদিগের দ্বারা আত্মার যে পরিমাণে • উপকার হওয়া উচিত, কেবল ইহাদিগের প্রতি নির্ভর করাতে জগতে তাহা হয় ন| বিষয়