পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( S ) "অনিষ্ট হইয়াছে। প্রথমতঃ তিনি বলিয়াছেন, নিয়ম ভিন্ন মনুষ্যের আর জ্ঞাতব্য কিছু নাই, অথচ নিয়ম বলিলে নিয়ন্তাকে বুঝা স্বাভাবিক, এমন কি না বুঝিলেই চলে না । কোমত এই স্বাভাবিক বোধ্য বিষয়কে জ্ঞানের পথে আসিতে বলপূর্বক বাধা দিয়াছেন। দ্বিতীয়তঃ “ জগতের মূল কারণ অপরিজ্ঞেয়” বলতে তিনি যে নিয়মমূলক ব্যাখ্যাকে চক্ষুষ্মত্তা প্রদান করিতে চাহিয়া ছিলেন; চক্ষুষ্মতী হইয়াও উছা অন্ধ হইয়াছে। কোমত জগতের তত্ত্বনিৰ্ব্বাচনজন্য যে তিন প্রকার ব্যাখ্যার উল্লেখ করেন, তাহার উন্নতির ক্রম ধরিয়া দেখিলে আমরা ইছা অনায়াসে বুঝিতে পারি যে, কাল যত অতীত হইয়াছে, অনুসন্ধান যত বাড়িয়াছে, মনুষ্যগণ ততই ঈশ্বরের নিকটবৰ্ত্তী হইয়াছে। কেননা পৌরাণিক সময়ে বৰুণ জলের দেবত বলিয়৷ পূজিত ছিলেন ; দার্শনিক সময়ে সেই বৰুণের দেবত্ব দূর হইয়া স্নেহশক্তির আধার বলিয়৷ গৃহীত হইয়াছেন ; পরে বৈজ্ঞানিক সময়ে সেই বৰুণ উদজনও অন্নজনের সমষ্টি বলিয়া পরিচিত হইয়াছেন। অগ্নি পূৰ্ব্বে দেবতা, পরে দাহিকাশক্তিসম্পন্ন জড়, তৎপর রাসায়নিক কার্যের ফল বলিয়া গৃহীত হুইয়াছে। এইরূপে বুঝিতে অতি সহজ যে, যখন মনুষ্যগণ জড় বস্তুতে ঐশী শক্তি আরোপ, করিতেন, তখন তাছারা প্রকৃত ঈশ্বরতত্ত্ব হইতে । অনেক দূরে অবস্থান করিতেছিলেন। দার্শমিক সময়ে তাহার