পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৬৩ ) পরিপুষ্ট হইল কেন ? সম্প্রতি সংসারে নিরক্ষর লোকের মাত্র কিছু অধিক হইয়াছে। র্তাহার কিসের কি উদ্দেশ্য, কি কৰ্ত্তব্য কি অকৰ্ত্তব্য, এ সকল বিবেচনার ভার নিজের উপরে রাখিতে সম্মত মহেন এই জন্য। অথবা ইত্রিয় দমন করিতে হইলে যথেচ্ছাচার কমাইতে হইবে, তাহাতে অবৈধ ভোগের ব্যাঘাত জন্মিবে, ইহা তাহাদিগের প্রকৃত চিত্তার বিষয় । ইন্দ্রিয়গণ অপরিহার্য্য সম্পদ। উহা পরিত্যাগ করিবার কাছারও সাধ্য নাই। সুতরাং ইক্রিয়সাহায্য পরিত্যাগ করিবার কাহারও সাধ্য হইবে না ইহা নিশ্চিতরূপে লোকের বিশ্বাস অাছে। এ জন্য যাহা অসাধ্য সাধন বলিয়া লোকের সংস্কার আছে, তাহ লইয়া যদি কেহ বলে “ ইন্দ্রিয় সংঘমকর ” তৰুে বলা হইবে “ উহা মানুষের অসাধ্য।” এ কথায় যদি কেহ আপত্তি করে, তবে তাহার উত্তর দিবার জন্য পূৰ্ব্বকথিত বৃক্ষলতাসমাচ্ছন্ন বস্ত্রীকপ্রোথিত ঋষিজীবনের কথা বলিলেই প্রচুর হইতে পারিবে, এইটি তাহাদিগের ভরসা। যাহা হউক, যে যুাহ করুক বা না করুক, ধৰ্ম্ম সাধন করিতে হইলে ইন্দ্রিয়সংযম করিতে হইবে, ইহা নিশ্চিভ সিদ্ধান্ত - যিনি ধৰ্ম্মের জন্য ব্যাকুল, সুমাজের মুখাপেক্ষা করিবার তাহার অধিকার নাই। সমাজের যাহ। সুবিধা সমাজ তাহা করিবে, যাহা অসুবিধা হইবে তাহা কৰুিবে না । সাধক ! তুমি যদি সমাজের প্রতি দৃষ্ট রাখিয়া নিজের জীবন প্রস্তুত করিতে যাও, যদি সমাজকে