( १४ ) বিত্রত উপস্থিত হয়, তাহাই দূষিত, সুতরাং অনিষ্ট্রোৎ পাদক। এই কথাটি স্মরণ করিয়া যে সকল বস্তু বস্তুতঃ, প্রকৃতিগত বিশুদ্ধ, যাহা হইতে বিনা চেষ্টায় মনে অপবিত্রতা জন্মে না, সেই সকল বস্তু নিকটে রাখিতে স্বত্ব করিবে এবং ষে সমস্ত বস্ত হইতে অতি সহজে মন্দ ভাব হৃদয়ে । জাগিয়া উঠে, তাহ হইতে দৃষ্টিশক্তি আকর্ষণ করিয়া রাখিবে। যথা—পুষ্পের সৌন্দর্ঘ্য ও সোঁকুমাৰ্য্য, পক্ষিশরীরের বিচিত্রতা, তরু লতাদির চিত্তস্নিগ্ধকর ভাব, রজনীর গভীরতা নিস্তব্ধতা ও মাধুর্ঘ্য, ভারকাখচিত নভে} মণ্ডলের রমণীয়তা ইত্যাদি। এইগুলি প্রকৃতিক অথচ নিস্বার্থ মুখপ্রদ মনোহর দৃশ্য । ইহা হইতে অতি , সহজে ঈশ্বরের প্রেম, পবিত্রতা, বরণীয়ত, রমণীয়তা প্রভৃতি মনে আনা যায়। অতএব যাহাতে-সেই ভূম মহান পুরুষের মহিমা এই সকল প্রাকৃতিক সৌন্দর্ঘ্য হইতে হৃদয়ে মুদ্রিত করা যায়, তাহার জন্য চেষ্টা করিবে । যত দিন হৃদয় বিশ্বস্ত বন্ধুর ন্যায় না হয়, তত দিন নিম্নলিখিত বস্ত নিচয় হইতে দুঙ্গ থাকিবার স্বত্ব করবে। যথা—স্বামী ব। স্ত্রী, পুত্র কন্যা ও অর্থ প্রভৃতি এবং শয্যা, পরিচ্ছদ, গৃহ ইত্যাদি। এ সকল সংসারের অপরিহার্য বস্তু অথচ এই সকল দ্বারা অতি সহজে মনুষ্য-হৃদয় আসক্ত ও স্বার্থপরায়ণ হইয়া উঠে । সুতরাং এই সকল দৃশ্য প্রথমভ্যাসীদিগের বিপন্থকি । ৰিশদ্বন্ধক অথচ এ সকল না হংসে সংসারে
