পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(۹ سوا) কিন্তু আমার মত তাহা নহে। বিকৃতি আর রূপান্তর হুই প্রকার। যেমন দুগ্ধ দধি হয় নাই, অথচ ইন্ধের প্রকৃত স্বাদ তাহাতে নাই, এই অবস্থাকে বিকৃতাবস্থা বলা যাইতে । পারে । কিন্তু দুগ্ধ দধিত্ব প্রাপ্ত হইলে বিকৃতি থাকে না, তাস্থা রূপান্তরিক্ত হয় । এই বিকৃতি ও রূপান্তরের অর্থ এই যে বিরুতিমদ্বত্ব বিস্বাদ ও অপকারী, প্রকৃতিমৎ রূপাস্তরিত বহু সুস্বাদ ও উপকারী । যাই। হইতে আমাদিগের শরীর পুষ্ট ও বলিষ্ঠ হয়, তাহা পুৰ্ব্বোক্ত কটু, তিক্ত, অন্ন, মধুর, ক্ষার ও কষায় প্রভৃতি রসকে আশ্রয় করিয়া বস্তুসকলে অবস্থান করে । ইহার"প্রমাণ দিবার জন্য নিম ও চিরত, শর্কর ও দুগ্ধ, লঙ্ক ও পলাণ্ডু, তিস্তিন্দ্রী ও, বদরী, লবণ ও লৌহের কথা উল্লেখ করিতে পারি। নিম ও চিরতার তিক্তত্ব, শর্কর ও ছন্ধের মধুরত্ব, লঙ্কা ও পলাণ্ডুর কটুত্ব, তিম্ভিড়ী ও বদরীর অম্লত্ব, লবণের ক্ষারত্ব ও লৌহের কষায়ত্ব প্রভৃতিই পুষ্টি ও বলের আধার ; রাসায়নিক পতিত্বগণ পরীক্ষা করি, রছেন, এই সকল বস্তু প্রকৃতিতে থাকিলে বা রূপান্তরিত হইলে মহোপকার প্রাপ্ত হওয়া যায়। বিক্কতাবস্থায় ইহার फूडाख অপকারী ৰলিয়া বিখ্যাত। বস্তুতঃ রস মাত্রই শরীররক্ষার উপযোগিতা আছে । কিন্তু ইহারও মধ্যে একটি আশ্চর্য্য কৌশল আছে । যে বস্তু তাধিক পোষক ও বলকারী, তাহাতে তত অধিক স্বাদ আছে। স্বাদ