পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৯৪ ) স্বাহ বলা হুইল জাহাতে এই পাওয়৷ যাইতেছে যে, বিশ্বাস কোন প্রমাণের উপর তিষ্ঠিয় থাকে, কিন্তু প্রমাণ ব্যতীত এক মুহূৰ্ত্তও তিষ্ঠিতে পারে না। যদি বিশ্বাস রাখিবার প্রমাণ আবশ্যক, তবে সে প্রমাণ কি ? বিশ্বাসের প্রমাণ হুই প্রকার । এক কুলক্ৰমাগত আচার পদ্ধতি, দেশাচার ও স্বদেশপ্রচলিত ধৰ্ম্মশাস্ত্র । দ্বিতীয় প্রজ্ঞানিষ্ঠ স্বতঃসিদ্ধতা ও অবশ্যম্ভাবিত্ত । আমার পিতা পিতামহ প্রভৃতি পূৰ্ব্বপুরুষদিগকে যেরূপ আচার ব্যবহারে রত দেখিয়াছি, দেশের সাধারণ মানবগণ যেরূপ ব্যবহার করিয়া থাকেন, এবং স্বদেশে যে সকল ধৰ্ম্মশাস্ত্রের শাসন প্রচলিত আছে, এই সকলকে প্রমাণ করিয়া বিশ্বাস অবস্থান করিতে পারে। আবার বৈজ্ঞানিক সত্য, যাহাৰু স্বরূপ কি লোকে জানে ন, অথচ স্বভাবতঃ তাহার অনুরূপ কাৰ্য্য করে, উহ! স্বতঃসিদ্ধ বিশ্বাস । এই বিশ্বাসে প্রমাণের প্রয়োজন করে না, উহ। আপনি আপনার প্রমাণ । বিশ্বাস বস্তুতঃ পদার্থ এক, সুতরাং উহার স্বভাব ও শক্তি একই রূপ। কেবল আধারগত বিভিন্নতাহেতু পণ্ডিতগণ এই একই বিশ্বাসকে দুই ভাগে বিভক্ত করিয়াছেন । এক অপ্রকৃত, অপর প্রকৃত । এক অন্ধ, সুপর চক্ষুষ্মান । আমরা আত্মার স্বভাব ও ঈশ্বরের স্বরূপগত ভাব হইতে যে অখণ্ড ও অমোঘ বিশ্বাস প্রাপ্ত হইয়া থাকি, তাহ প্রকৃত এবং চক্ষুয়া। ইহা স্বাক্স