পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ( ) এই অবস্থার সাধক আপন শারীরিক মুখ দুঃখাদির প্রতি সম্পূর্ণ উদাসীন হইয়া পড়েন। সুতরাং জল স্থল শূন্য পৰ্ব্বত প্ৰাম্ভর ও গিরিগুহা প্রভৃতি কোন স্থানে যাইতে তিনি উীত বা কুষ্ঠিত হন না । ঈশ্বরলিপ্‌হু ব্যাকুলাত্মা মানৰ যখন এই অবস্থায় পতিত হন, তখন পৃথিবীর লোকের র্তাহাকে উন্মত্ত বলিয়া উপহাস করে । এই লৌকিক উপহাস সাধক পুরুষকে বাথিন্ত বা নিরন্ত করিতে পারে না । কেন না তখন তাহার নিজের মান সন্ত্রম প্রভৃতি অনুম্বোধিক্ত অবস্থায় অৰস্থান করে । নিজের মান মৰ্য্যাদা প্রভৃতি স্মরণে থাকিলে প্রকৃত ব্যাকুলত উদিত হইতে পারে না। কোন বস্তুর মহিমা হৃদয়ে সুন্দবরূপে মুদ্রিত না হইলে অনুরাগ জন্মে না । অমুম্বাগ না জন্মিলে আসঙ্গলিপস জন্মে না। আসঙ্গলিপস ও দর্শনেচ্ছ না জন্মিলে লাভ করিবার জন্য হৃদয় উদ্বেজিত হয় না। বস্তুর সৌন্দর্য্য, ৰস্তুর মহত্ব, একবার সৃদয়ে গভীর ভাবে অস্থিত হইলে নিজের অভাবসকল জাগ্ৰং হইয় উঠে। তখন তাহাকে দর্শন করিবার, তাহার সঙ্গে একত্র বাস করিবার, তাহাকে আপনার করিবার ও আপনি তাহার হইবার এবং যথাসৰ্ব্বস্ব তাহাকে প্রদান করিয়া জাহার তুষ্ট সাধন করিবার জন্য মনুষ্য লালায়িত হয় । যখন আমরা দূর হইতে কোন গোলাপ কি রজনীগন্ধ পূপের সৌরভ প্রাপ্ত হই, তখন তাহা পাইবার জন্য আমাদিগের