পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১১৫ ) কারণ হয়, তবে ভক্তির পাত্রও উচ্চ না হইয়া পারে না।” কেন না উত্তম গুণ অধমে থাকিবে কিরূপে ? অতএব ঈশ্বর, মাচাৰ্য্য, পিতাও মাতা প্রভৃতিরাই যথার্থ ভক্তির পাত্র । এই সকল স্থান তুি ভক্তি আর কোথাও তিষ্ঠিতে পারে না। প্রীতি যেমন প্রীতকে গতিশূন্য করে, ভক্তিও সেইরূপ ভক্তকে নিশ্চল করে। ভক্তির এই শক্তি অনিবাৰ্য্য । কাহারও প্রতি ভক্তি জন্মিলে, ভক্ত র্তাহাকে পরিত্যাগ করিয়া একপদও কোন দিকে সরিতে পারে না। যে সকল উচ্চ গুণকে আশ্ৰয় করিয়া ভক্তি জীবিত থাকে, যদিও ঐ সকল গুণ পিতা মাতা গুরু প্রভৃতিতে পাওয়া যায় ; ভথাপি ঈশ্বৰ ব্যতীত আর কোথাও তাহার পর্য্যাপ্তি নাই । যখন আমরা স্তন্যপায়ী শিশু ছিলাম, যখন আমরা এখনকার সৰ্ব্বপ্রকার ক্ষমতা ও সম্পদ হইতে বঞ্চিত ছিলাম, তখন কেবল পিতামাতার কৃপাতেই পরিত্রাণ পাইয়াছি। যখন ঘোরতর অজ্ঞান ছিলাম, নিজের বলে কিছুই বুঝিভে বা নিৰ্ব্বাচন করিতে, পারিতাম না, তখন ম্বেই অন্ধকারে গুরুর কৃপায় আলোক পাইয়াছি। .এই যে দুইটি স্থান উদ্ধৃত করা গেল, পৃথিবীতে ইহা অপেক্ষা অধিক ভক্তির পাত্র আর নাই। কিন্তু ইহারও মূলে সেই জগৎ পালয়িত্রী স্নেহময়ী বিশ্বজননীর করুণা গুপ্তভাবে নিহিত রহিয়াছে । জনক জননীর ক্ষমতা ও মহত্ব কোথা হইতে আসিয়াছে ? গুরুর জ্ঞানের উৎস কোথায় ? গুরুর গুরুত্ব কে প্রদান করিয়াছে ?