পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 8७ } সেবী প্রমত্ত কিম্বা উন্মত্ত ব্যক্তি যখন দুষ্কৰ্ম্মে প্রৱত্ত es তখন তাহুর মস্তিষ্ক বিরুত সুতরাং আত্মার বিশুদ্ধ জ্ঞান, বিশুদ্ধ ভাব ও ইচ্ছ। তাহার মধ্য দিয়া সঞ্চারিত হইতে পারে ন । এই জন্যে কি আত্মার অস্তিত্ব অসম্ভব হইতে পারে ? কখনই না । জগতে যত প্রকার জড়ীয় পরমাণু আছে, তাহার একটীতেও জ্ঞান, ভাব ও ইচ্ছা নাই। সুতরাং জড়ের সংযোগবিয়োগে যে গুণ উৎপন্ন হয়, তাহাও জড় হইবে। তাছাতে চেতনের লক্ষণ থাকিতে পারে না। এ পৰ্য্যন্ত যত জড়ীয় গুণ আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহার একটতেও চেতনের চিহ্ন মাত্র নাই। গুড় কিম্বা দ্রাক্ষ রস হইতে যে মাদকতা জন্মে তাহা জড়। উদজন ও অন্নজন যোগে জল হইয়াছে, তাছাও জড়। চূণ হরিদ্র যোগে যে রক্তবর্ণ হয় ও পারদ এবং গন্ধক যোগে যে হিঙ্গুল উৎপন্ন হয়, সকলই জ । জড়ের গুণ জড় বৈ জ্ঞান হুইতে পারে না । জড় হইতে কিরূপে যে জ্ঞান ভাবাদি উৎপন্ন হইবে, আপত্তি কারিগণ কি তুহার উত্তর দিতে পারেন । যাহারা পৃথক পৃথক অবস্থায় অজ্ঞান ছিল, সংযুক্ত হুইয়। তাছার কিরূপে সজ্ঞান হইবে ? ইহা কি মনে কল্পনা করিতেও সাহস জন্মে ? 喙 তৃতীয় কথার উত্তর এই--জড়ীয় পরমাণুগুণে মানব শরীর কার্যক্ষম থাকে,এবং কোন বিশেষঅংশের বিয়োগ হইলে শরীর বিনষ্ট হইয়া যায় ; কেননা শরীর জড়। স্বতরাং