পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१७ } এ স্থলে সঙ্গত হইতে পারে না। কেমন রজ্জ্বতে যে সপ বলিয়। ভ্রান্তি জন্মে তাহ কাছার ? যাহার সপ বিষয়ক জ্ঞান আছে। এক দিন যে সৰ্প আপন চক্ষুতে কোথাও দেখিয়াছে, যে সপের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে, রজ্জ্ব দেখিলে তাহারই সর্প বলিয়া ভ্রান্তি জন্মিতে পারে। কিন্তু যে কখন সৰ্প কিরূপ জানে না, সপের অস্তিত্ব মাত্রেও বিশ্বাস করে মা, তাহার তদ্বিষয়ক ভ্রম জন্মিতে পারে মা ! অতএব যে মায়া অবস্তু, যাছার বস্তুতঃ অস্তিত্ব নাই, তদ্বিষয়ক জ্ঞান আদিৰে কোথা হইতে? যদি মায়াবিষয়ক জ্ঞান পূৰ্ব্ব হইতে না আসিতে পারে, তবে ভ্রমও আসিতে পারে মা% । 尊 ৫ম । এতদপেক্ষ আরও এক চমৎকার রহস্য আছে । “আমি ব্ৰহ্ম” এবং “তুমিও ব্রহ্ম” এই কথা লইয়। একাত্মবাদী নাস্তিকগণ মারামারি করিয়াছেন, কিন্তু ইছার ভিতরে প্রবেশ করিয়া দাধামুন্ধান করিয়াছেন এরূপ বোধ হয় না। আমি ব্ৰহ্ম অথচ আমি রজুতে সৰ্প দেখিতেছি, তুমি ব্ৰহ্ম অথচ তুমি শুক্তিতে রজত দেখিতেছ কেন ? আমিও ব্ৰহ্ম তুমিও ব্রহ্ম, তবে ভ্রান্তি কাছার ? ব্রহ্ম সচ্চিদানন্দ • পঞ্চদশী প্রণেতার মতে মাং ব্রজের শক্তি, সুতরাং অতিন্ন এবং অমাদিসিদ্ধ বা মিত্য। এরূপ হইলে তজ্জন ভ্রান্তি হইতে পারে ন। ক্ষেদা। শক্তির প্রতি শত্তে ব কর্তৃত্ব, শক্তের প্রতি শক্তির কর্তৃদ্ধ মাষ্ট। আমার শক্তি দ্বা, আমি কা করিতে পারি, ভ্রান্ত হইতে পারি মা'।