ব্যাঙ্গমা বললে, জোয়ান হবার শখ থাকে তো তার প্রক্রিয়া বোধ হয় বাতলাতে পারি, কিন্তু ওদের সাহস হবে কি? বোধ হয় পেরে উঠবে না।
—পারুক না পারুক তুমি বল না।
উদ্ধব ফিস ফিস করে বললেন, নোট করে নাও হে, নোট করে নাও। জগবন্ধু তাঁর নোটবুকে লিখতে লাগলেন।
ব্যাঙ্গমা বললে, ধুস্তুরী ছোলা। এক-একটি ছোলা খেলে দশ-দশ বছর বয়স কমে যায়।
—সে আবার কি জিনিস? কোথায় পাওয়া যায়?
—তৈরি করতে হয়। ওই বেড়ার দক্ষিণ দিকে নীল ধুতরোর ঝোপ আছে, তাতে বড় বড় ফল ধরেছে। কৃষ্ণপক্ষ পঞ্চমীর সন্ধ্যায় ধুতেরো ফল চিরে তার ভেতরে ছোলা গুঁজে দিতে হবে, একটি ফলে একটি ছোলা। একাদশীর মধ্যে সেই ছোলা রস টেনে নিয়ে ফুলে উঠবে, তখন বার কবে নেবে। তার পর অমাবস্যা সন্ধ্যায় গঙ্গার ঘাটে গিয়ে ছোলা চিবিয়ে খেয়ে সংকল্প করবে। মনে থাকে যেন, একটি ছোলায় দশ বছর বয়স কমবে, পাঁচটিতে পঞ্চাশ বছর।
—যদি দশ-বিশটা খায়?
—তবে পূর্বজন্মে ফিরে যাবে। তার পর শোন। সংকল্পের পর এই মন্ত্রটি বলে গঙ্গায় একটি ডুব দেবে—
বম মহাদেব ধুস্তুরস্বামী,
দস্তুর মত প্রস্তুত আমি।
ডুব দেবা মাত্র বয়স কমে যাবে।
—আচ্ছা, যদি ফের আগের বয়সে ফিরে আসতে চায়?
—খুব সোজা। পূর্ণিমার সন্ধ্যায় গঙ্গার ঘাটে গিয়ে বেলপাতা