পাতা:ধুস্তুরী মায়া ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রামধনের বৈরাগ্য
৩৩

লম্বা চওড়া জোয়ান, এয়ার ফোর্সে কাজ করে, এখন ছটিতে আছে। তৃতীয় লোকটি শ্যামসুন্দর ভ্রমরবররায়, উড়িষ্যার কোনও রাজার জ্ঞাতি, অতি সহপরষ, সরাইকেলার নাচ জানে।

 ক্রমশ সকলের সন্দেহ হল যে বিদ্যাপতি ঘোষের দিকেই রম্ভা বেশী ঝুঁকেছে। কিন্তু দু দিন পরেই দেখা গেল, নাঃ, ওই ষণ্ডামার্ক বিক্রম সিংটার ওপরেই রম্ভার টান। আরও দু দিন পরে বোধ হল, উহ‍ুঁ, ওই উড়িষ্যার নবকার্তিক শ্যামসুন্দরের প্রেমেই রম্ভা মজেছে।

 কারও বুঝতে বাকী রইল না যে ওই তিন জনের মধ্যেই একজনকে রম্ভা বরমাল্য দেবে। অগত্যা আর সবাই আড্ডা থেকে ভেগে পড়ল, কিন্তু সেই ইস্কুলের ছেলেটি রয়ে গেল।

 একদিন বিদ্যাপতি ঘোষ এক ঘণ্টা আগে এসে রম্ভাকে যথারীতি প্রণয়নিবেদন করলে। রম্ভা গদগদ স্বরে বললে, এর জন্যেই আমি অপেক্ষা করছিলাম, অনেকদিন থেকেই তোমাকে আমি ভালবাসি। তবে আজ আর বেশী কথা নয়, দশ দিন পরে তোমার কাছে আমার হৃদয় উদ‍্ঘাটন করব।

 পরদিন বিক্রম সিং রাঠোর এক ঘণ্টা আগে এসে বিবাহের প্রস্তাব করলে। রম্ভা বললে, থ্যাঙ্ক ইউ ডিয়ার, তুমি আমার দিল কা পিয়ারা। লক্ষীটি, ন দিন সময় দাও, তার পর পাকা কথা হবে।

 তার পরদিন শ্যামসুন্দর ভ্রমরবররায় সকাল সকাল এসে বললে, শুন রম্ভা, তুমার জন্য আমি পাগল, তুমি আমার হও। রম্ভা উত্তর দিলে, আমিও তোমার জন্য পাগল, আট দিন সবুর কর, তোমার ইচ্ছা পূর্ণ হবে।

 নির্দিষ্ট দিনে সকলে উপস্থিত হলে চা খাওয়ার পর সেই ম্যাট্রিক ছাত্রটিকে রম্ভা বললে, গাবলু তুমি বাড়ি যাও। গাবলুর পৌরুষে ঘা লাগল। একটু র‍ুখে বললে, কেন?