আসি তবে দেখতে শুনতে ভালই হবে। মেনকাকে বললাম, আমি যেতে রাজী আছি, কিন্তু প্রায়শ্চিত্তটা কি, সেখানে গিয়ে কি করতে হবে?
—একটি কাজের ভার নিয়ে তোমাকে যেতে হবে। এই ঝুমঝুমিটি থোকার হাতে দেবে আর আমার হয়ে তাকে একটু আদর করবে। কিন্তু তুমি বড় নোংরা, আগে ভাল করে হাত ধোবে, তার পর খোকার থুতনিতে ঠেকিয়ে আলগোছে একটি চুমু খাবে।
আমি প্রশ্ন করলুম, সে আবার কি রকম?
—এই রকম আর কি। এই বলে মেনকা তার হাত আমার দাড়িতে ঠেকিয়ে মুখের কাছে এনে একটা শব্দ করলে, —চুঃ কি থুঃ বুঝতে পারলুম না। তার পর বললে, এই নাও ঝুমঝুমি। খবরদার, হারিও না যেন, তা হলে মজা টের পাবে।
ঝুমঝুমিটা নিয়ে আমি বললুম, হারাব কেন, খুব সাবধানে রাখব। আহা, তুমি তোমার নাতিটিকে দেখতে পাবে না, বড় দুঃখের কথা। দেখ মেনকা, তুমি তো চলে যাচ্ছ, যদি আমার কাছে কোনও বর চাইবার থাকে তো এই বেলা বল।
—নাঃ, বর টর আমার দরকার নেই।
আমি বললুম, নেই কেন? যদি চাও তো আমার ঔরসে তোমার গর্ভে একটি পুত্র দিতে পারি। যদি তিন-চারটি বা শ-খানিক চাও তাও দিতে পারি।
নাক সিটকে মেনকা উত্তর দিলে, হয়েছে আর কি! তুমি নিজেকে কি মনে কর, কার্তিক না কন্দর্প? তোমার সন্তান তো রুপে গুণে একেবারে বোকা পাঁঠা হবে।
অতি কষ্টে ক্রোধ সংবরণ করে আমি বললুম, আচ্ছা আচ্ছা, বর না চাও তো আমার বড় বয়েই গেল। আমি অপাত্রে দান করি না।