পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$8 मछेममिमी । নিকট আসিয়া উপস্থিত হইল, এবং পরম্পর স্বাগত সম্ভাষের পর বিমলা স্বীয় অবস্থা বিশেষের প্রকৃত প্রস্তাবনায় প্রবেশ করিল । বিমলা কহিল—“আমিও ব্রাহ্মণের কন্যা ছিলাম, বয়স যখন আমার প্রায় নয় বৎসর পিতা চারিশত টাকা পণ লইয়া এক বংশজ ব্রাহ্মণের হস্তে আমাকে বিক্রয় করেন, কিম্বা বিবাহ দিলেনই বলি। যিনি আমার স্বামী তাছার বয়স অনুমান ত্রিশ বৎসর, তখন তিনি নিতান্ত লোক মন্দও ছিলেন না, উপায়ক্ষমওবটেন, সংসারে পুৰুষ তিনিই, স্ত্রীলোকের মধ্যে মা তার এক বিধবা ভগ্নী। শাশুড়ী ঠাকুরাণীর অন্য কোন চরিত্র দোষ ছিল না বটে কিন্তু বড় মুখরা ছিলেন, আবার ভাগ্য ক্রমে বোর্কাটকী হইয়া উঠিলেন । আমি এগার বৎসরে পা দিতেই স্বামী আমাকে আপন বাটতে লইয়া গেলেন, আমি তথায় উপস্থিত হইয়া প্রথমে শাশুড়ীকে নমস্কার করিলাম, তিনি আমাকে আশীৰ্ব্বাদ করিলেন কি না জানি না কিন্তু বলিলেন “বাছা কটা চামড়ায় আমি ভুলি না, একটা গাদা টাকা তোমার দাম, মনে করিলে বুক ফেটে যায় ; যেমন এলে এখন মানুষের ঝি হওত সংসারের কায কৰ্ম্ম মন দিয়ে করবে, মেয়ে ছেলের রত-ছরতই মূল, নৈলে সবই মিথ্যে" এই কথা গুলি তার প্রথম দিনের আদর করা, পরের ব্যবহার ভাবেই বুঝতে পারলে, আমি আদর শুনে ভাবিলাম পিতা মাতা কি টাকার লোভে অণমণকে রাক্ষসীর ছাতে সমর্পণ করিলেন ? নুতন বোঁ ঝি এলে গেলে প্রতিবাসীরা আসে যায়, দেখে শুনে, আমি তাছার কিছুই দেখিলাম না, গিমীর মুখের গুণে