পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিমল । సి(t কারও সঙ্গেই প্রায় মুখ দেখ দেখি ছিলনা, সুতরাং কেহই আইসে নাই, কেবল আমার সমবয়সী দুটা কৈবৰ্ত্তের মেয়ে একবার আমার কাছে এসে বস্তেই, ঠাকুৰুণট এমনি মুখ নাড়া দিলেন যে তারা পালাতে পথ পায় না । বৈকালে দুটা আদি বুড়ে মাগী এলো তাহদের আকার প্রকারে বোধ হলো তারা এক এক জন তারই মতন, বাড়ীর ভিতর ঢুকেই “কৈ গো দিগম্বরের মা তোমার বোঁ কোথায়’ বলিবা মাত্র শাশুড়ী ঠাকুরাণী—বিরক্ত ভাবে উত্তর করিলেন “ঘরে আছেন দেখ গে? তাহারা আমাকে দেখিয়া “তাইত বেশ বেটী যে ? আহা! হোক হোক বেঁচে থাক” বলে বাহিরে গেল এবং গিনীর সঙ্গে কথা বাৰ্ত্ত কহিতে লাগিল, সে অনেক কথা আমি সকল শুনৃতে পেলেম না। কেবল ঠাকৰুণটর মুখে এই কথাটী শুনিলাম “আর বোন এত দিন ছেলে আমার ছিলেন এখন ভাগের হলেন, তাই বা কি, যে দিন কাল তিন দিনে গিলে বস্বেন, তা হলেই চিত্তির” এই সকল শুনে আমার মনে বড় ভয় হলো, পর দিবস হইতে আপন ইচ্ছায় সংসারের কায কৰ্ম্ম করিতে লাগিলাম, কেহই বারণ করেন না বরং সমুদায়ই ক্রমে ক্রমে আমার ঘাড়ে চাপান হইল, আমি প্রাণ পণে খাটি, আর নির্জন পাইলেই কাদি । কাল শাশুড়ী কি ননদ এক লহমার নিমিত্ত আমাকে যত্ন কিম্বা শ্রদ্ধা করেন না, খাওয়া দাওয়ার বিষয় হঁড়ির ভাতের স্বাদ ভুলি লাম, হাতের পাতের দু এক মুটা খেয়ে কোন রূপে প্রাণ ধারণ করি। গিন্নীটী এতেও সন্তোষ নন ক্রমে পাতের ভাতেও হাত খাট করিলেন আমার শরীর দিন দিন ক্ষীণ হইয়া উঠিল স্বামীর স্বাদ তখন জানিতাম না বটে কিন্তু যদি তিনিও সময়ে সময়ে কাছে