পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুসুম । Ꮌ☾Ꮬ অভিনব বিকৃতভাব প্রতিভূত হইলে, শান্তিপথে মায়াবিনী মহামায়া আবিভূত হইয়াছেন ; ইহাই স্পষ্ট প্রতীয়মান হইল, কিন্তু তৎকালে তিনি যে অন্যমনে কিরূপ মনশ্চেষ্টায় নিবিষ্ট হেতুক ঈদৃশ স্থির মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়াছিলেন, তাহা তিনিই বলিতে পারেন । কতক্ষণ পরে, সুগভীর চিন্তু সাগরোথিত প্রবলোৰ্ম্মি স্বরূপ সুদীর্ঘাকার নিশ্বাস ত্যাগ করিয়া বেশুগণের মুখের দিকে দৃষ্টিপাত করিলেন । এই সময়ে দুঃখিনী দীন-বচনে তদীয় দৃঢ় সংকম্পের আভাস মাত্র সংক্ষেপে ব্যক্ত করণভিপ্রায়ে, সেই পরম পবিত্র তপশ্চারীকে উদেশ করিয়া বলিলেন “ দেব ! সুস্নিগ্ধ সুধাধারবষী ধারণস্বর কি, এ নিরপরাধিনীর মস্তকে বজ্র বর্ষণ করিতে উদিত হইলেন ? প্রভো ! নিৰ্ম্মল শান্তিরস কি, এ অভাগিনীর হৃদয় ভেদ করিবার নিমিত্ত হিংসা বিষে কলুষিত হইল ? ভগবন্‌ ! যে করপস্তুব কম্পপাদপের একমাত্র শাখা রূপে প্রকাশমান এবং চতুৰ্ব্বৰ্গ প্রদানের হেতু ভূত, উহাই কি ব্যাল মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া ছলাহল বমন করিতে প্রবৃত্ত হইবে ? পিতঃ ! যদি ধৰ্ম্ম স্বয়ং অপমাগে পদণপণ করেন, তবে সহায় বিহীন স্বধৰ্ম্মরক্ষণেষ্ট ধাৰ্ম্মিক কুলের অনুকূলে, কোন ইষ্টদেবের প্রসন্নত অভীষ্টসিদ্ধি প্রসাদ প্রদান করিবেন ? হে তাত । পাপিনীর ভাগ্যে কি সরিৎপতি অনলময় প্রতিমূৰ্ত্তি ধারণ করিতে প্রস্তুত হইলেন ? " বলিতে বলিতে দুঃখিনীর কণ্ঠরোধ হুইয়া উঠিল, আর বাঙ নিস্পত্তি করিতে পারিলেন না ; অধোবদনে রোদন করিতে অগ্রস্তু করিলেন । দুঃখিনীকে দর্শন করিয়াই ব্রহ্মচারীর হৃদয় বাৎসল্যে পরিপূর্ণ