>&o নটনন্দিনী । ছইয়াছিল, এক্ষণে তাছার মুখনিঃস্থত স্থায়ানুগত বচন প্রণালী শ্রবণে এককালে আরও অধীর হুইয়া উঠিলেন, যেন কি বলিবেন মনে করিয়া, মুহুর্মুহু দুঃখিনীর দিকে আর সেই গণিকা গণের প্রতি দৃষ্টিপাত করিতে লাগিলেন এবং অনভিপ্রস্ফুটিত কণ্ঠে কছিলেন, “সদসৎ প্রকৃতি পূৰ্ব্বজনিত মুকুতি দুষ্কৃতির অমুগত, সুকৃতি সৎকান্তির জন্ম স্থান, অতএব এ নিৰুপম রূপমিধান সুশীলতা এবং ধৰ্ম্মশীলতাদি সদ্বগুণ সমূহে অলঙ্কত হুইবে, ইহা অসম্ভাবিত নহে, অথবা বিমল কমলগর্ভে সুনিৰ্ম্মল পরিমল ব্যতীত গরল কখনই ধারণ করে না । ” কানন বিলক্ষণ মুচতুরা, তপস্বীর মুখ ভঙ্গী দেখিয়া এবং র্তাহার এবম্বিধ অমুকুল বাক্য শ্রবণ করিবামাত্র, অভিপ্রায় বুঝিতে পারিল । তখন সে যোড় হণ্ডে বিনীত ভাবে বলিল “প্রভো! আপনকার শ্ৰীচরণ দর্শনাবধি আমরা একপ্রকার স্থিরচিত্ত হইয়াছিলাম, এবং ঐ দুর্লভ পদ রেণুই যে চিরদুঃখিনী দুঃখিনীর এই সুগভীর বিপদ সাগর হইতে মুক্তি হেতু সেতু স্বরূপ হুইবে ইছাও নিশ্চয় জানিতাম । কেননা সুধাধার সুধাকর রাহুগ্রস্ত হইলেও ক্রমান্বয়ে অমৃতময় অংশু বিকাশ করিতে কৃপণ হয়েন না। আপনিও অকলঙ্ক চন্দ্র স্বরূপ, যদিও পুলিন রন্থ কর্তৃক গ্রাসিত হইতেছেন, তথাপি এই স্বধৰ্ম্মবতী শুদ্ধমতি দুঃখিনীর দুঃখ তিমির নিবারণ জন্ত সৰ্ব্ব সুমঙ্গল ময় কৰুণ কিরণ বিতরণ করিবেন, ইছাতেই বা সন্দেছ কি ? দেব ! আপনি নীরবে আছেন, কিন্তু আপনার বিসদৃশ মুখ ভঙ্গি আমাদিগের আশাঙ্কুরকে পল্পবিত্ত করিতেছে। দয়াময় ! তাছাকে সদয় ৰাক্য রূপ ফল পুষ্পে সুশোভিত করিবার প্রতিবন্ধক যদি
