পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& নটনন্দিনী । অপমার গমণ পথ অবরোধ করিয়া দণ্ডায়মান । তখন আমি এই দুর্ঘটিভ অপমৃত্যু আশঙ্কার যৎপরোনাস্তি শঙ্কিত হইয়াছিলাম বটে, কিন্তু আমার হিত বুদ্ধি এককালে তিরোহিত হয় নাই । ভাবিলাম বিপন্ন দশায় ধৈর্য্যের সহিত সাহসকে আশ্রয় করিতে পরিল, অনিষ্ট দর্শন আকাশ কুসুমের দ্যায় কদাচিৎ দৃষ্টি পথে পতিত হয় ; নিমেষ মধ্যে বদ্ধ পরিকর হইয়া, স্বকরে কক্ষস্থিত লৌহ নিৰ্ম্মিত সুদৃঢ় সন্দংশ ধারণ পূৰ্ব্বক, আৰ্ত্তস্বরে চিৎকার আরম্ভ করিলাম। আমার ভাদৃশ বিচিত্র ভঙ্গীতে বিচিত্রাঙ্গ ক্ষণমাত্র স্তব্ধ থাকিয়া, পরক্ষণেই উল্লম্ফন দ্বারা আমাকে আক্রমণ করিবার উপক্রম করিল । আমি ভরশ নির্ভরতায় সম্মুখ মৃত্যুমুখ হইতে মুক্তি লাভ করিবার জন্ত বল পূর্বক, সেই কঙ্কমুখ নখায়ুধের বিকট মুখে বিদ্ধ করিয়া দিলাম। সন্দংশকের কঠিন আঘাতে হিংসকের হিংসাবল হীন বল হইয়া পড়িল, তাহাকে অবসন্ন দেখিয়া, বিদ্ধ চিমটা উৎপাটিত করিয়া লইয়া, পশ্চাৎদৃষ্টি করিতে করিতে গমন করিতে লাগিলাম । তাছার আক্রমণে যদিও আমার প্রাণন্তু হয় নাই, তথাপি পঞ্চনখের লখাঘাত হইতে রক্তধরের অবিশ্রান্ত অবণে, আমাকে দ্রুত গমনে অক্ষম করিয়াছিল। মহাবল ব্যাঘ্র সেই সামান্ত আঘাতে, অণর কতক্ষণ ব্যথিত থাকিবে, অবিলম্বেই কুন্দন করিতে করিতে পুনরায় আমার নিকটে আসিয়া উপস্থিত হইল। তখন উপায়ান্তর শুষ্ঠ, অগত্যা লম্ফ প্রদান করিয়া শৈবলিনীর গর্ভে স্রোতমুখে পতিত হইয়া, প্রবল বেগে ভাসিতে ভাসিতে দক্ষিণ দিগে গমন করিতে লাগিলাম। ব্যাস্ত্রও একদৃষ্টি আমার প্রতি লক্ষ্য করিয়া, আমার সঙ্গে সঙ্গে আসিতেছিল ।