আকাশ কুন্তম 9 আমার ক্ষ ভবিক্ষত শরীর জলসংলগ্নে নিরতিশয় ব্যথিত অধিকতর, রক্ত স্রাবে যৎপরে নাস্তি ক্লান্ত হইয়া উঠিল । করকা নির্বিশেষ নিঝর নীরের শৈ ত্যামুভবে, সন্ধিলন্ধ সকল শ্লথ হওয়ার আমি সস্তুরণক্ষম হইলাম ও জীবনাশয়ে ক্ষান্ত হইয়া, কায়মনে পরম পিতার স্মরণ করিতে লাগিলাম। এই সময় একখানি কাষ্ঠকলক আমার অদূরেই ভাসিতেছে দেখিতে পাইলাম, দেখিতে দেখিতে কাষ্ঠফলক আমার আয়ন্ত্রীভূত হইল, আমি তলরোহণে ভাসমান, অচিরে মুচ্ছ অলক্ষিত রূপে উপনীত হইয়া, অামার চেতন হরণ করিল । তং পরে ব্যাঘ্র কোথায় গেল, আমিই বা কোন দেশ হইতে কোন দেশে গেলাম, কিছুই জানি না। এইরূপে সে দিবসের অবশিষ্ট দিবা ভাগ, সমস্ত রাত্র এবং পর দিবস বেল দ্বিতীয় প্রহরাবন্ধি, বিচেতিতাবস্থায় তাতিবাহিত করিয়াছি । অবিরত জলমগ্নে ক্ষত বেদনা, অনেক অংশে শান্তুি হইয়াছিল । সূর্য্যমণ্ডলের প্রচণ্ড কিরণতাপে, শরীর সস্তুপ্ত হওয়াতে চেতিত হইলাম। শঙ্কাসঙ্কুচিত নয়নদ্বয় উল্মীলিত করিয়া, দেখিলাম, তটে অবতীর্ণ হইয়াছি ; স্থানটাও অত্যধিক বন কীর্ণ নহে । মন জীবনাশায় কতক অণশ্বস্ত হইল । অনেকক্ষণের পর সেই স্থানেই উঠিয়া বসিলাব ; অপে অপে সুস্থতার সহিত দুরন্তু জঠরানল প্রবলবেগে উদিত হইল, বহুকষ্টে তীরস্থ আয়ত্তভুত বৃক্ষ হইতে ফল গ্রহণ পূৰ্ব্বক, অবিচারিত চিত্তে ভোজন করিলাম । ফলের মধ্যে খাদ্যাখাদ্য বা তিক্ত কটু কষয়াদি বনবিশেষের তারতম্য বিচারের অপেক্ষা করিবার অবকাশ ছিল না, কিঞ্চিৎ টদরসাৎ করাই তখন প্রধান উদ্দেশ্য, সুতরাং আয় ক্ৰমত যাহা প্রাপ্ত
