পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سمت سمجي SNOR नौश। काश्निी । বিপ্লব এইরূপ মুকুলেই শুষ্ক হইয়া যায়। এই সময়েই ইংরাজগণ বাঙ্গালার শাসন ও কিয়ৎ পরিমাণে বিচারভার নিজেদের হন্তে গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। কিন্ত বিচার সম্বন্ধে হিন্দুর ব্যবস্থায় তাহারা একেবারে অজ্ঞ ছিলেন ; সুতরাং স্মাৰ্ত্ত পণ্ডিতগণের ব্যবস্থার একান্ত প্রয়োজন হয়। এই গোপাল ন্যায়ালঙ্কারই প্রথম মাসিক বৃত্তি অবধারণে গবৰ্ণমেণ্টের ব্যবস্থাপক নিযুক্ত হন। ইহার পর বীরেশ্বর ন্যায়পঞ্চানন এই পদে নিযুক্ত হয়েন। বীরেশ্বর ন্যায়পঞ্চানন ও “আহিক-আচার’ প্ৰণেতা৷ রামানন্দ বাচস্পতি মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সভার অলঙ্কার-স্বরূপ ছিলেন । উক্ত বীরেশ্বর ন্যায় পঞ্চাননই দৈত্য বীরেশ্বর” নামে খ্যাত। কথিত আছে-একদিবস বীরেশ্বর তঁাহার কোন এক ভূত্যের উপর অতিশয় রোষপরায়ণ হইয়া তাহাকে একটিী চড় মারেন । তাহার একমাত্ৰ চপেটাঘাতেই ভৃত্যষ্টিী প্ৰাণ ত্যাগ করে। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের দয়ায় ব্ৰাহ্মণ সে যাত্রা অব্যাহতি পাইলেন বটে, কিন্ত মহারাজ বলিলেন- “পণ্ডিত ! আপনার কাৰ্য্যাট দৈত্যের ন্যায় হইয়াছে,”। তদবধি তিনি ও তঁহার বংশীয়েরা দৈত্য নামে খ্যাত হয়েনি। সে কালে কোনও লঘু পাপের শাস্তি দিতে হইলে কুক্রিয়াশীল ব্যক্তির নামের সহিত উক্ত কাৰ্য্যের যোগ করা হইত। এই রূপ শুনা যায় যে, একবার কোন এক ব্যক্তি প্ৰাতঃকালে মুখ প্ৰক্ষালন না করিয়াই বাসিমুখে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সভায় উপস্থিত হয়। রাজা তাহার শ্লেষ্মা ও লাল-সংলিপ্ত মুখ দর্শনে তঁহাকে ‘বাসি মুখো”। বলিয়া সম্বোধন করেন; তদবধি ঐ ব্যক্তি “বাসি মুখো” নামে খ্যাত হয়। ইহাদের বংশ শান্তিপুরে অদ্যপি বৰ্ত্তমান আছে। মহারাজ গিরীশচন্দ্রের সভায় কৃষ্ণকান্তবিদ্যাবাগীশ ও লক্ষ্মীকান্ত ন্যায়ভূষণ প্রধান স্মাৰ্ত্তারূপে বিরাজিত ছিলেন। কৃষ্ণকান্ত, ন্যায় ও স্মৃতি উভয় শাস্ত্ৰেই সুপণ্ডিত ছিলেন। তিনি ন্যায়ের গ্ৰন্থ ‘শব্দশক্তিপ্রকাশিকা” এবং জীমূতবাহনকৃত দায়ভাগের টীকা লিখিয়া উভয় শাস্কেই বুৎপত্তি দেখাইয়া গিয়াছেন। মহারাজ গিরীশচন্দ্রের সময়ে নবদ্বীপস্থা উত্তর মাঠে মুক্তি কাভ্যন্তর হইতে এক গোপালমূৰ্ত্তি উধিত হয়েন। এই ঘটনা অবলম্বন করিয়া তিনি “গোপাললীলামৃত” রচনা করেন। এই গোপাল অদ্যাবধি রাজবাটীতে আছেন। কথিত আছে;-কৃষ্ণকান্ত অতিশয় দাস্তিক ছিলেন। বস্তুতঃ তাহার সময়ে নং ৰীপে