পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नीझा काछिनौ । Sono সংস্কৃত অতি হীন অবস্থায় পরিণত হইতেছিল এবং একমাত্র তিনিই নবদ্বীপের জ্ঞানগৌরব রক্ষা করিতেছিলেন । তঁহার আসন্নকালে যখন অত্বীয় স্বজনে তঁহাকে গঙ্গাতীরস্থ করেন, তখন তঁহার একজন আত্মীয় কহিলেন, “খুড়া মহাশয় গঙ্গায় আনা গেল প্ৰণাম করুন”। তাহাতে বিদ্যাবাগীশ বলেন “বাপু হে আনা গোল নহে, আনা রহিল ; আমি গেলে নদের পনর আনা যাইবে, আনা রহিবে।” কেহ কেহ বলেন “তিনি মৃত্যু-শয্যায় শায়িত হইয়া নিম্নলিখিত শ্লোকটী রচনা করেন :- “অধিগগনমনেকাস্তারকা দীপ্তিভাজঃ প্ৰতিগুহ্যমপি দীপা দর্শয়ন্ত প্ৰভুত্বৎ। लिवि निधि दिगनg: नरु थलJाउ-coाडा সবিতরি পরিভুতে কিন্নলোকৈাব্যলোকি ৷” অর্থাৎ সুৰ্য্যাস্তে তারগণও দীপ্তিভাজন হয়, প্ৰতিগৃহে দীপ সকল প্ৰভুত্ব প্রদর্শন করে এবং চতুদিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খদ্যোত সকলও দীপ্তি পায়, অতএব আমার ক্ষায় সুৰ্য্য অস্ত গমন করিলে নদীয়ায় বিদ্যাকাশে এখন ক্ষুদ্র পণ্ডিতগণও প্ৰভুত্ব করিবে । বৰ্ত্তমান শতাব্দীর প্রারস্তে ব্ৰজনাথ বিদ্যারত্ব নবদ্বীপে প্ৰধান স্মৰ্ত্তারূপে বিরাজ করিতেছিলেন। এই মহাপুরুষ পুৰ্ব্বে শাক্ত-মতাবলম্বী থাকিলেও শেষ জীবনে মহাপ্রভুর শরণাপন্ন হয়েন এবং “চৈতন্যচন্দ্ৰোদয়” নামে একখানি গ্ৰন্থ প্রণয়ন করেন এবং স্বীয় চতুষ্পাঠীতে একটী হরিসভা স্থাপন করেন। এই অবধি নবদ্বীপের পণ্ডিত-মণ্ডলীর মধ্যে অনেকেই মহাপ্রভুর মতানুবৰ্ত্তী বৈষ্ণবগণের উপর বিদ্বেষভাব পরিত্যাগ করিয়াছেন। কথিত আছে;-কৃষ্ণনগরের রাজগণেরও মহাপ্রভুর ধৰ্ম্ম ভাল লাগিত না। একদিন রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভায় একজন বৈষ্ণবের সহিত আলাপ-কালীন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ঐ ভাবের কোন বাক্য বলিয়te ছিলেন ; তাহাতে ঐ স্পষ্টবাদী বৈষ্ণবটী শ্লেষব্যঞ্জকম্বরে উত্তর করেন, “মহারাজ আপনার এই চৈতন্যদ্বেষ স্বাভাবিক ও শাস্ত্রসম্মত ; কারণ পুরাণাদি সমস্ত পাঠ । করিয়া দেখুন, যে দেশে যখনই বিষ্ণু কলেবর গ্ৰহণ করিয়াছেন, তখনই সেই দেশের পরপরবাসী রাজগণের (দৈত্যগণের) नएच ऊँीशन विवान ७ क्टिक्ष ভােব প্রকাশ পাইয়াছে। অযোধ্যায় রামচন্দ্ৰ জন্ম গ্ৰহণ করিলে অপর পােরন্থ রাবণের সহিত বিবাদ হয়। গোকুলে কৃষ্ণরূপে জন্মগ্রহণ করিলে পরপরন্থ কংসের বিদ্বেষ জন্মে। এই রূপে প্ৰমাণিত হইতেছে আপনার এই বিদ্বেষ শাস্ত্ৰাক্ষ