পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नौश-काछिनी। \O84 পরম পণ্ডিত নন্দকুমার বিদ্যালঙ্কার মহাশয় তাহার কালে এ স্থানের শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত ছিলেন। পালপাড়ায় তঁহার চতুষ্পাঠী ছিল। ১৮৪২ খৃষ্টাব্দে লর্ড বিশপ হেবার সাহেব তাহার রোজ নামচায় এই পণ্ডিতের বিষয় উল্লেখ করিয়াছেন। নুপ্ৰসিদ্ধ মিশিনারি মিঃ কেরি এই সময়ে এই সকল স্থানে অত্যন্ত ব্যান্ত্রের উপদ্রব্য ছিল বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। আর এক জন সাহেব ১৭৮৬ খৃষ্টাব্দেও এখানে ব্যান্ত্রের উপদ্রবের বর্ণনা করিয়াছেন। এখানকার নিবিড় জঙ্গলে ব্যাভ্রাদির ন্যায় বহু নবাকায় পশুও আশ্ৰয় লইয়া চুরি ডাকাতি প্রভৃতি কাৰ্য্যে লিপ্ত ছিল। ১৮০৯ খৃষ্টাব্দে হানিফ নামে এক বিখ্যাত দনু্য ও তদীয় ৮ জন সাহচরের এই স্থানের ৰাজারে নৃশংস ভাবে খুন ও ডাকাতি করা অপরাধে প্ৰাণদণ্ড হইয়াছিল।* ১৮৪৫ খৃষ্টাব্দে এখানে কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক একটী ব্ৰাহ্ম সভা ও স্কল স্থাপিত হয় এবং এই বৎসরে এক জন নীলকর সাহেব কর্তৃক আর একটি ইংরাজী স্থল স্থাপিত হয়। ইহার ছাত্র সংখ্যা ছিল ৪০ জন। এখানে তখন ২টীি স্মৃত্তির টোল ছিল। তাহার ছাত্র সংখ্যা ছিল ৩২ জন। ইহা তখন রাণাঘাটের পাল চৌধুরী বাবুদিগের জমিদারী ভুক্ত ছিল, এবং গঙ্গাতীরে তঁহাদের গদী বাটাও ছিল। তখন চাকদহের বাজার খুব সমৃদ্ধ ছিল, অনূ্যন দুইশত বৃহৎ আড়ত ছিল। গঙ্গাবক্ষ যাত্রীবাহী ও ভারবাহী নৌকায় সৰ্ব্বদা সমাচ্ছন্ন থাকিত । এক্ষণে গঙ্গা চাকদহ হইতে দূরে সরিয়া যাওয়ায় ও রেল পথের বিস্তার হওয়ায় বাজার, গঞ্জ সমস্তই লোপ পাইয়াছে, এবং গঙ্গাতীরস্থ পুরাতন চাকদহের অস্তিত্ব লুপ্ত হইয়া রেলওয়ে ষ্টেসন চাপিয়া নূতন চাকদহ গ্ৰাম গঠিত হইয়াছে। এই স্থান পুর্বে হিন্দুগণের অন্তিম তীরস্থ করিবার জন্য সবিশেষ প্ৰসিদ্ধ ছিল। এখানকার শ্মশান মহা শ্মশান বলিয়া খ্যাত হইয়াছিল। ঢাকা, যশোহর প্রভূতি দূরবত্তী স্থান হইতেও শব্য লইয়া সর্বদা এখানে লোক আসিত। কালী প্ৰসাদ পোদার নামে যশোহরের এক জন সদাশয় ধনী সুবর্ণবণিক যশোহর হইতে চাকদহ পৰ্য্যন্ত, যশোহর বাসীর গঙ্গাস্নানের সুবিধার জন্য এক প্ৰশস্ত বত্মর্ণ নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছিলেন। ইহা এখনও বিদ্যমান থাকিয়া তাহার স্মৃতি জাগারুক রাখিয়াছে।

  • Tramwaingnum manunum

wouldn't ningulon " Calcutta Review Vol. V. Page 411,