পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У 8. o নন্দনে নরক দশ হাজার টাকার অলঙ্কার লইয়াছেন ; তাহারা স্বামী ফজল ভাই জিজিভাইয়ের নিকট আমি টাকার কথা বলি নাই ; আমার বিশ্বাস, তাহার নিকট এ টাকা চাহিলেই পাওয়া যাইবে।” জেমসেটুজি বলিলেন, “এই স্ত্রীলোকটিকে হাতে পাইলে, আমাদের কিছু সুবিধা হইতে পারে ; ইহার নিকট ঘন ঘন টাকার তাগাদ করিবে ।” বাপুভাই বলিল, “গত সপ্তাহে রমলাবাই সাহেব। আমাদের অনেক টাকা দিয়াছেন ; আবার ইহার মধ্যেই টাকার তাগাদ করিলে খরিদদারটি হাত ছাড়া হইবে না ত?” জেমসেটুজি বলিলেন, “সেজন্য তোমাকে চিন্তা করিতে হইবে না ; ক্ষতিগ্রস্ত হইবারও ভয় নাই। রমলা বই সাহেবার নামে যে সকল বিল আছে তন্মধ্যে পুরাতন বিলখানি কত টাকার ?” বাপুভাই পকেট বই খুলিয়া হিসাব দেখিয়া বলিল, “অধিক নয়, আড়াই হাজার টাকা ।” জেমসেটজি বলিলেন, “উত্তম কথা ; এই বিলখানি লইয়া কাল বেলা তিনটার সময় তাহার নিকট তাগাদায় যাইবে । সে সময় রমলা বাই পেষ্টনজি সাপুরজির সহিত আলাপে ব্যস্ত থাকিবেন, সুতরাং চাকর তোমাকে অপেক্ষা করিতে বলিবে ; কিন্তু তুমি বাধা না মানিয়া একেবারে রমলা বাইসাহেবার সম্মুখে উপস্থিত হইবে, এবং কিছুমাত্র ইতস্ততঃ না করিয়া সাপুরজির সম্মুখেই সেই বিলখানি রমলা বাই সাহেবাকে দিয়া বলিবে ‘আমার টাকার বিশেষ আবশ্বক। এ অনেক দিনের বিল, আজই অামাকে টাক। দিতে হইবে ।”