পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮8 নন্দনে নরক শুনিয়াছি মেটা সাহেব এই বিবাহে তিন লক্ষ টাকার যৌতুক দিবেন, আপনি কৃতকাৰ্য্য হইলে ইহার এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক পাইবেন ।” 靜 জেমসেটুজি বলিলেন, “লক্ষ টাকাকে আমি অধিক অর্থ মনে করি না ; এই বিবাহের জন্য আমাদিগকে যে পরিশ্রম করিতে হইবে, তাহার তুলনায় লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক অত্যন্ত অল্প ।” পেষ্টনজি জিজ্ঞাসা করিলেন, “তাহা হইলে আপনি কত টাক৷ চান বলুন।” জেমসেইজি গম্ভীর স্বরে বলিলেন, “আপনি যদি টাকা না দিতে চান তাহীতেও আমাদের আপত্তি নাই ; এমন কি, আমাদের নিকট আপনার যে ঋণ আছে, সে টাকাও আমরা ছাড়িয়া দিতে প্রস্তুত আছি ” পেষ্টনজি এবার একটু কুষ্ঠিত ভাবে বলিলেন, "আপনি অত্যন্ত উদারতা প্রকাশ করিতেছেন, কিন্তু আপনার প্রকৃত মনোভাব কি, প্রকাশ করিয়। বলুন । সংসার সম্বন্ধে আমার কিঞ্চিৎ অভিজ্ঞতা আছে ; আমি জানি সাংসারিক লোক অকারণে এত উদণর হয় না।” জেমসেটুজি বলিলেন, "তবে সকল কথা খুলিয়া বলি শুনুন । প্রায় ত্রিশ বৎসর পূৰ্ব্বে যখন আমি ও আমার সহযোগীগণ, প্রথম যৌবনপথে পদার্পণ করি, তখন আমাদের অবস্থা ঠিক এখনকার মত ছিল না ; তখন আমরা সচ্চরিত্র ও সাধুপ্রকৃতি যুবক ছিলাম ; তখন আমাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষার-সীমা ছিল না, সম্মুখে যতদূর চাহিতাম, দেখিতাম পৃথিবী আলোকে ও পুলকে, আনন্দে ও বিশ্বাসে পরিপূর্ণ। তখন