পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵ নন্দনে নরক নহে ; শত শত দাস দাসী নিরস্তর তাহার হাতে থাকায়, বোম্বায়ের বহু সম্রাস্ত পরিবারের অনেক গুপ্ত রহস্ত তাহার আয়ত্ত করিবার সুবিধা ছিল, এবং ইহাতেই তাহার লাভ অধিক হইত। এই আখ্যায়িক পাঠ করিলে পাঠক পাঠিকাগণ আমাদের কথার মৰ্ম্ম বুঝিতে পারিবেন। প্রেমজির আজ আর সে জীর্ণ ও মলিন পরিচ্ছদ নাই ; জুতা ও মোজা হইতে মাথার টোপা পৰ্য্যন্ত সকল পরিচ্ছদই মূল্যবান ও নুতন। পূৰ্ব্বদিন সন্ধ্যাকালে হীরাজির নিকট যে একশত টাকা কর্জ করা হইয়াছিল, তাহার প্রায় অৰ্দ্ধেক প্রেমজির পরিচ্ছদ ক্ৰয়েই ব্যয়িত হইয়াছে। প্রেমজি দাসাশ্রয়ে উপস্থিত হইয় দেখিল, একজন কৰ্ম্মচারী সমাগত দাস দাসীগণের নিকট হইতে দক্ষিণ লইয়া তাহীদের নাম রেজিষ্টারী করিতেছে। একটি মধ্যবয়স্ক খৰ্ব্বাকৃতি দাসী আসিয়া ঝঙ্কার দিয়া বলিল, “মুন্সী মহাশয়, আমার নামট আগে খাতায় লিখিয়া লউন, এবাব আমাকে ভাল যায়গায় চাকরী করিয়া দিতে হইবে।” মুন্সী কানে কলন গুজিয়া মুখ বাকা করিয়া বলিল,“তুই বেটী ভারী নচ্ছার, কোথাও বেশী দিন টিকিয়া থাকিতে পারিস না । এই ত মাস তিনেক আগে তোকে একটা বেশ ভাল চাকরীর যোগাড় করিয়া দিয়াছিলাম, তা তুই রাখিতে পারিলি কৈ ?” দাসী বলিল, “তখন হাতে কিছু ছিল, তাই চাকরীর বড় একটা তোমাক রাধিতাম না ; এখন হাত একবারে খালি, একটা কিছু না হইলে আর চলিতেছে না। চাকরী যেমনই হউক, বাজার করিবার ভারটি আমার হাতে থাক চাই।”