পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ মোমের পুতুল পরদিন মধ্যাহ-কালে যথানির্দিষ্ট সময়ে প্রেমজি এপোলো স্ত্রীটে। জেমসেটুজির প্রতিষ্ঠিত দাসাশ্রয়ে উপস্থিত হইল। কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে জেমসেটুজি এই দাসাশ্রয়ের প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। জেমসেটুজি যখন এই দাসাশ্রয়ের প্রতিষ্ঠা করেন,তখন তাহার অনুষ্ঠান পত্রে ঘোষিত হইয়াছিল যে, বোম্বাই সহরের সন্ত্রান্ত সমাজ দাস দাসীর অভাবে অনেক সময় অত্যন্ত অসুবিধা ভোগ করেন। আবার পক্ষান্তরে দেখা যায়—অনেক কাৰ্য্যনিপুণ দাস দাসী চাকরী জুটাইতে না পারিয়া বেকার বসিয়া আছে ও আহার অভাবে কষ্ট পাইতেছে। এই উভয় শ্রেণীর অসুবিধা নিবারণের জন্যই এই দাসাশ্রয়ের প্রতিষ্ঠা। সকল শ্রেণীর দাসদাসী যৎসামান্ত দক্ষিণ দিয়া এই দাসাশ্রয়ে নাম রেজিষ্টারী করিয়া যাইলে তাহাদিগকে যথাসম্ভব শীঘ্র চাকরী সংগ্ৰহ করিয়া দেওয়া হইবে ; যাহার যেরূপ দাস দাসীর আবশ্যক হইবে এই দাসাশ্রয়ে অনুসন্ধান করিলে তিনি সেইরূপ দাস দাসীই প্রাপ্ত হইবেন। এই দাসাশ্রয়ের প্রতিষ্ঠার পর হইতে, জেমসেটুজি সুদীর্ঘকাল ধরিয়া যোগ্য কৰ্ম্মচারীগণের সাহায্যে ইহার কার্য্য এরূপ সুশৃঙ্খলাক্রমে নিৰ্ব্বাহ করিয়া আসিতেছিলেন যে, সকলেরই বিশ্বাস জন্মিয়াছিল, তাহার এই অনুষ্ঠানে সাধারণের একটি গুরুতর অভাব পূর্ণ হইয়াছে। এই দাসাশ্রয় হইতে জেমসেটুজির কেবল যে দু’পয়সা আয় হইত, ইহাই