পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8৮২ নন্দনে নরক জাহাঙ্গীরজি ভাবিল, নওরোজি তাছাকে চেনেন না বলিয়াচুপ করিয়া আছেন ; সে অপেক্ষাকৃত উচ্চৈঃস্বরে বলিল, “তুমি কি রকম লোক ? পেষ্টনজি সাপুরজিকে চেন না । সে আমার এক জন পুরানো ইয়ার ; দু’জনে এক সঙ্গে জুয়ায় কত টাকা উড়াইয়াছি তাহার কি সংখ্যা আছে ? উহার কাছে এখনও আমি নিতান্ত কম দু'হাজার টাকা পাইব ।” সহসা নওরোজির মুখ প্রফুল্প হইয়া উঠিল; তিনি ক্রমাগত ভাবিতেছিলেন, কি উপায়ে তিনি পেষ্টনজি সাপুরজির গতি বিধির প্রতি লক্ষ্য রাখিবেন ; জাহাঙ্গীরজির কথা শুনিয়া যেন তিনি অকুল সমুদ্রে কুল পাইলেন ; স্থির করিলেন, এ বিষয়ে তিনি জাহাঙ্গীরজির সাহায্য গ্রহণ করিবেন । তিনি সোৎসাহে জিজ্ঞাসা করিলেন, “পেষ্টনজি সাপুরজি আপনার পুরানো ইয়ার ?” জাহাঙ্গীরজি বলিল, “সে আমার ভয়ঙ্কর ইয়ার ! আমি তাহার নাড়ী-নক্ষত্রের খবর রাখি। আর একটা মজার কথা তুমি বোধ হয় জান না, একটি যুবতীর সহিত প্রেম করিতে গিয়া বেচারা একেবারে লবেজান হইয়া পড়িয়াছিল । প্রেমের দায়ে, উহার মাথার চুল পৰ্য্যন্ত বিক্রয় হইয়াছে ; এমন লম্পট দুনিয়ায় দু’টি নাই।” জাহাঙ্গীরজির এই উচ্ছাস কতক্ষণ চলিত বলা কঠিন, কিন্তু হঠাৎ তাহার বাক্যস্রোতে বাধা পড়িল ; সন্মুখস্থ একটি দ্বার খুলিয়া পেষ্টনজি সাপুরজি আদমজির সহিত সেই কক্ষে প্রবেশ করিল। পেষ্টনজির পরিচ্ছদ অতি মূল্যবান ও অতি সুন্দর, হস্তে গজদন্ত নিৰ্ম্মিত কাক কাৰ্য্য খচিত একখানি সুন্দর যষ্টি, মুখে সুগন্ধি চুরুট।