পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

а о নন্দনে নরক যে জবানবন্দী দিয়াছি, আর পূৰ্ব্বে যে এজাহার দিয়াছিলাম এ উভয়ের মধ্যে স্থানে স্থানে অনৈক্য হইয়াছে, পূর্বে কি বলিয়াছিলাম পরে তাহা মনে রাখিতে পারি নাই। শঙ্কর খুব চালাক লোক ; তাহার কোনও কথা এদিক-ওদিক হয় নাই। তাহার উপর আমি বড়ই খুলী হইয়াছি। সে বলিতেছিল, সে আর কাসে টজির চাকরী করিবে না। যদি সে স্বেচ্ছায় চাকরী ছাড়িয়া দেয়—তাহা হইলে আমি তাহাকে চাকর রাখিব মনে করিতেছি। এই দুর্ঘটনা সম্বন্ধে আমি কি জানি না জানি, তাহা জানিবার জন্য বন্ধুবান্ধবের দৌরাত্ম্য বড়ই বাড়িয়াছে, সেজন্য আমি লোকের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ প্রায় বন্ধ করিয়াছি ; শেষে কি হঠাৎ সত্য কথা বলিয়া ফেলিয়া আমার প্রিয় বন্ধুকে বিপন্ন করিব ?”— এই পৰ্য্যন্ত পাঠ করিয়া জেমসেটুজি জিজ্ঞাসা করিলেন, “ইহা প্রকৃতিস্থের উক্তি কিনা, আপনার কি মনে হয় ?” মেটা সাহেব এ প্রশ্নের কোনও উত্তর না দিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, "আর কিছু আছে ?” জেমসেটুজি বলিলেন, “আছে।—ইহার দুই সপ্তাহ পরে ২৩শে অক্টোবর আপনার বন্ধু ডায়রীতে যাহা লিখিয়াছেন তাহা শ্রবণ করুন।” "২৩শে অক্টোবর, ১৮৬৩ –পরমেশ্বরকে ধন্যবাদ । কাসে টজির মামলা ফাসিয়া গিয়াছে ! শঙ্কর বড় চমৎকার সাক্ষ্য দিয়াছে ; তাহার মত বর্ণজ্ঞান হীন লোক যে, আগাগোড়া ঠিক রাখিয়া এমন ভাবে জবানবন্দী দিতে পারে, তাহ আমার ধারণা ছিল না। শঙ্কর অতিরিক্ত চালাক। পূৰ্ব্বে ভাবিয়াছিলাম তাহাকে একট চাকরী দিব, কিন্তু এখন দেখিতেছি, এমন ফাজিল চালাক চাকর রাখা বড় সুবিধার কথা নয়।