পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8叙 नदक्षिांन শৈলেশ বলিল, এই কটুক্তির জবাব না দিয়েও এ-কথা বলা যেতে পারে যে, উষা শীঘ্রই চলে যাচ্ছেন । চলে যাচ্ছেন ? কোথায় ? শৈলেশ কহিল, যেখানে থেকে এসেছিলেন-তার দাদার বাড়ীতে । ক্ষেত্রমোহনের মুখের ভাব অত্যন্ত গম্ভীর হইয়া উঠিল, তিনি স্ত্রীর মুখের প্রতি কটাক্ষে চাহিয়া কহিলেন, আমি এইরকমই কতকটা ভয় করেছিলাম। শৈলেশ । বিভা এতক্ষণ পৰ্য্যন্ত একটা কথাও কহে নাই, স্বামীর সুপরিচিত কণ্ঠস্বরের অর্থ সে বুঝিল, কিন্তু মুখ ফিরাইয়া সহজ গলায় জিজ্ঞাসা করিল, দাদা, আমাকে নিমিত্ত করেই কি তুমি এই ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে ? তা যদি হয়, আমি নিষেধ করব না, কিন্তু একদিন তোমাদের দু’জনকেই কঁাদিতে হবে বলে দিচ্ছি। শৈলেশ ঘাড় নাড়িয়া জানাইল, না । তাহার পরে সে মুসলমান ভূত্য রাখা হইতে আরম্ভ করিয়া আজ সকালের সেই খাতাটার কথা পৰ্যন্ত আনুপূর্বিবক সমস্তই বিবৃত করিয়া কহিল, যেতে আমি বলিনি, কিন্তু যেতে বাধাও আমি দেবো না। আত্মীয়-বন্ধু-মহলে একটা আলোচনা উঠবে, এবং তাতে যশ আমার বাড়বে না, তাও নিশ্চয় জানি ; কিন্তু প্ৰকাণ্ড ভুলের একটা সংশোধন হয়ে গেল, তার জন্যে ভগবানকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ দেবো । বিভা মুখ বুজিয়া চুপ করিয়া বসিয়া রহিল, ক্ষেত্রমোহনও বহুক্ষণ পৰ্য্যন্ত কোনরূপ মন্তব্য ব্যক্ত করিলেন না । শৈলেশ কহিল, তোমাদের কাছে সমস্ত জানানো কৰ্ত্তব্য বলেই আজ আমি এসেটি । অন্ততঃ তোমরা না। আমাকে বুঝতে ভুল করে । ক্ষেত্রমোহন সজোরে মাথা নাড়িয়া বলিলেন, না, না, তার সাধ্য কি। হাঁ হে শৈলেশ, ভবানীপুরে সেই যে একবার একটা কথাবাৰ্ত্তা হয়েছিল, ইতিমধ্যে তঁরা আর কেউ খবর-টাবর নিয়েছিলেন কি ? শৈলেশ অসহিষ্ণু হইয়া বলিল, তোমার ইঙ্গিত এত অভদ্র এবং