পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাস । N969 আজি নহে সত্যভামা মানিনী তোমার উঠিয়াছে প্রাণে তার বড় হাহাকার। যাদবের অমঙ্গল, কি যে ঘন মেঘদল, ছাইয়াছে স্নেহপূর্ণ হৃদয় তাহার – তুমি যে যাদবপতি, অমঙ্গল তার ? মুকুন্দ ফিরায়ে মুখ, কিবা মূৰ্ত্তিমতী দুঃখ । দেখিলেন সত্যভাম, চাহিয়া নীরবে আত্মহারা ঘোর কৃষ্ণ সায়াহ-অর্ণবে ! পতির কৌতুকবাণী, চিন্ত নিমজ্জিত রাণী শুনে নাই | যেই জিহবা শ্লেষের আগুন তপ্ত অঙ্গরের মত বর্ষণে নিপুণ, অচল সে । রসরঙ্গে, রঙ্গের তরঙ্গ-ভঙ্গে, যেই হৃদয়ের, কৃষ্ণ যেতেন ভাসিয়া, সেই সিন্ধু স্থির, মেধে রেখেছে ছাইয়া । দীপালোকে সত্যভামা বসি, বিষাদিনী কাম, শেষ সন্ধা মত, দেহ অবিচল স্থির,— দেপি গোলিদের মুখ হইল গম্ভীর। নতমুখ, অন্ত মন, শিবিরেতে কিছুক্ষণ ভ্ৰমিয়া কঠিলা দেব,-“শান্তি অমঙ্গল সকশ্লেষ্ট মানবের নিজ কৰ্ম্মফল । সেই কৰ্ম্মফল রেখা,—উহাই অদৃষ্ট-লেখা— । মানব আপনি যদি না করে খণ্ডন, কার সাধ্য সেই লেখা করিবে মোচন ? রুঞ্জিণি ! ফিরায়ে নেত্র, রাজসূয় যজ্ঞক্ষেত্র একবার শাস্তভাবে কর দরশন ! হায় । ভারঙের সেই অশাস্তি ভীষণ