পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাস । ' ১৪৮১ বহিতেছে প্রেমধারা, কি যেন আনন্দ-নীরে হইতেছে সিক্ত অঙ্গ, প্রাণ পরিপূর্ণ ধীরে। বাসুকি আবিষ্ট কণ্ঠে কহে—“দেখ কি মুন্দর । কি মুন্দর বৃন্দাবন ! কি কদম্ব মনোহর । কি জ্যোৎস্না ! কি স্বনারী যমুনা বহিছে হাসি । কি পুষ্প-সৌরভ ! কিবা বাজিছে মধুর বাণী । কি প্রেমমূৱতি শিশু, কি প্রেম-নয়নধারা ! গলা জড়াইয়া কারু প্রেমময়ী আত্মহারা ! ওই বাজিতেছে বাণী কি মধুরে—“আয় । আয় ” এই যাই, এই যাই ।”—বাসুকি ছুটয় ষয় দুই বাহু প্রসারিয়া ; মহাভাবে প্রেমভরে পড়িতে ধরায়, পার্থ ধরিলেন ক্ষিপ্রকরে। রাখিলেন মুভদ্রার অঙ্কে শ্লথ মুগ্ধ শির ; বসিলেন শৈল, পার্থ, পদতলে বাসুকির লয়ে বক্ষে পদতীর্থ। ভাবাবিই তিন জন রছিলেন চাহি শূন্তে সেই প্রেম-বৃন্দাবন । প্রেমাশু নয়নে, প্রেম আননো চিত্ত অচল, শুনিলেন সেই বাণী, সেই যমুনার জল । স্বভদ্রার অন্ধ-স্বর্গে শুইয়া আনন্দ মনে মহাভাবে গেলা চলি বাহুকি সে বৃন্দাবনে। কঁপিল বুল্লখ যেন মহাভাবে কিম্পিত ; গল্পজিল সিন্ধু যেন মহাভাবে উচ্ছ্বসিত। ঘোরাল প্রকৃতি মূৰ্ত্তি দিনে নাহি দিবাকর , । হাভাবে সমাধিস্থ নে বিশ্ব চরাচর ; -ജ്ഞങ്ങ