পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৬২ নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী লোকের গোগে পড়িয়া গেল। যুৱতী চীৎকার । কুরিয়া হুকুম দিতে লাগিলেন, “ তুমি আমার বাপকে উঠাইয়া দেও।” আমি দেখিলাম, আমার মন্দ হাকিম জেটে নাই। গাড়ীতে স্থান নাই। ষ্টেশনমাষ্টারের সঙ্গে ঝগড়া করিয়া একখানি গাড়ী জুডি লইলাম। তখন বহুতর অন্ত লোকের সঙ্গে বৃদ্ধ উঠিল । xশুন্দরী আবার আমাকে তলপ দিলেন বলিলাম, “তোমার বাপ উঠিয়াছে।” প্রশ্ন—“তুমি স্বচক্ষে দেখিয়াছ ” উত্তর-“দেখিয়াছি।” তখন তিনি আমাকে ছাড়িলেন । গুনিলাম, তিনি একজন মহাজনের বনিতা। প্রতোক ষ্টেশনে আমি বেড়াইবার সময় আমার সঙ্গে আলাপ করিতেন । তিনি জলন্দরে নামিয়া গেলেন, আমি লাহোরে চলিয়া গেলাম । আমি কাশ্মীর যাইবার অবসর পাই নাই । শীতে ঘাইবারও স্ববিধা নাই । অতএব কাশ্মীরকুমুমবাশি আমি বড় এপ্লট দেখি নাই। তবে যাহা দেখিলাম এবং গুনিলাম তহিতে তাহাদের উপর আমার শ্রদ্ধা কিঞ্চিৎ কমিয়াছে। ভাস্কাদের আরুতিতে কিঞ্চিৎ পুরুষে পুরুষে ভাব, যদিও রং অতুলনীয় . এবং গুনিলাম, তাহারা নিতান্ত অপরিস্কার। সকলে বলিলেন, ইহাদের অপেক্ষ শিমূল-প্রকলবাসিনী হিমালয়কস্তারাই মুন্দরী । ইহাদিগকে পাহাড়িয়া বলে । তাহার একটিমাত্র জমি দেখিতে পাইয়াছিলাম। প্রভুলের বাড়ীর পার্শে একটি পাহড়িয়া গৃহস্থ বাস করেন । র্তাহার একটি কস্ত সৰ্ব্বদা প্রাচীপের সে পাশে দাড়াটয়, প্রভুলের দাসীর সঙ্গে কথা কষ্ঠিত এবং প্রায়ই সে ও তাছার মাতা, নানা কাৰ কৰ্ম্ম কবিয়া বেড়াইভ। মরি। মরি ! কি রূপ। জ্ঞাধি অধন রূপ যেন কখনও দেখি নাই শুনিলাম, তাছার নাম পাৰ্ব্বতী এবং সে রূপেও ঠিক আমাদের পাৰ্ব্বতী তাহকে দেখিয়া আমি বুৰিলাম, আমাদের