অবকাশরঞ্জিনী } *(? এ পাপ পরশে হয় দুঃখের সঞ্চার । এই ভয়ে মনোভাব মনেতে লুকায়, যথা ক্ষুদ্র বারিবিম্ব সাগরে মিশায় । যবে তব তীক্ষতর কটাক্ষ বিষম, অন্তর অন্বেষি, পরে বিঁধে এ মরম, আশ-পুলকিত মন নাচে বা কখন ; ভয়ে ভীত করে কডু অশ্রু বিসর্জন । তথাপিও বলি নাই তোমায় কখন,— কি সুখ নিরর্থি তব সজল নয়ন ? যে অনল জ্বলিতেছে অন্তরে অামার, বলি নাই বটে আমি কত জ্বালা তার, বলিব না মনে ছিল কি করি এখন, 攀 পাপ কিবা প্রেম কভু থাকে না গোপন । আমার অজ্ঞাতে খুলি হৃদয়ের দ্বার, দেথায়েছে শিখা তার, এ মন তোমার ! সেই আলোকেতে যদি তোমার মতন, দেখে থাক কোন মূৰ্ত্তি হও বিস্মরণ । ষদি তুমি কোন কথা করেছ শ্রবণ, মনে কর সে কেবল নিশার স্বপন । স্বরগ-সমান প্রিয়ে ! হৃদয় তোমার কি কাজ করিয়া তারে দুঃখের আধার ? ভঙ্গিয়াছে আশানিদ্রা জানিয়াছি সার, হবে না, হবে না তুমি, হবে না আমার । উদ্বাহ-বন্ধনে (কিবা বিধি বিধতার ) হবে না আমার তুমি, হব না তোমার । তথাপিও চিরদিন প্রণয়-নিগড়ে,
পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৯১
অবয়ব