বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©ao নবীনচন্দ্রের এস্থাবলী । পায় স্থান শত শত, কিন্তু প্রিয়তম । বালিকা হৃদয় চারু ক্ষুদ্র সরোবরে, একটা তরণী মাত্র পরে ভাসিবারে । আমার কৈশর স্বপ্ন ! নাহি জান তুমি, সেই বালকের রূপ কত ভাল বাসি । বালকের সরলতা পূরিত প্রণয়, আইস ঢালিয়া দেও হৃদয়ে আমার ; জুড়াও পিপাসা মম, কহ একবার উন্মত্ত বালক মত—তুমি কি আমার সহস্ৰ গোলাপ বৃষ্টি করিলে আমার অধরে, ললাটে, সিক্ত যুগল নয়নে । সহস্ৰ কুসুম-দীর্ঘ সহস্ৰ চুম্বনে । জীবস্ত মদির সিক্ত অবশ মস্তক রাখি অংশে অংশে, ক্লান্ত চরিট নয়ন নীরবে কঁাদিল কত, অশ্রু সুখকর । সে রোদন, এ রোদন কতই অন্তর ।” উঠিল যুবক । যুব উঠিতে খসিয়া পড়িল কতটী ফুল ছিন্ন মালা হ’তে । রমণী অমনি তাহা লইল তুলিয়া । অধোমুখে, ধীরে যুবা ভ্ৰমিতে লাগিল । গম্ভীর মুখশ্ৰী, মেঘে আচ্ছন্ন বদন ; কেশের কিরীট সহ মিশেছে বরণ। কথন বা ছিন্ন হার গলায় পরিয়া ; কখন বা হৃদয়েতে রাখিছে চাপিয়া । “যেই দিন, এই মালা করিলে অর্পণ, সেই দিন, সে রহস্ত,--আছে কি স্মরণ !