পাতা:নব্য-ন্যায় (ব্যপ্তি-পঞ্চক) - রাজেন্দ্রনাথ ঘোষ.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

쓰 히 | VO আছে। সুতরাং দেখা গেল, অনুমিতি করিতে হইলে এই দুইটী একান্ত আবশ্যক। ইহাদের মধ্যে “যেখানে ধূম থাকে। সেই স্থানেই বহ্নি থাকে৷” এই জ্ঞানটীকে বাপ্তিজ্ঞান, এবং “পৰ্ব্বতে ঐ প্রকার ধূম রহিয়াছে।” এই জ্ঞানটীকে পরামর্শ বলে। সুতরাং ইহারা উভয়েই অনুমিতির প্রতি হেতু। পরামর্শের কথা গ্ৰন্থকার অন্যস্থলে বলিবেন, এ গ্রন্থে বাপ্তি কি, তাহাঁই বলিতেছেন । ਠਭਵਿਣ ਟਵ ਠ এইবার দেখা যাউক “অবাভিচরিতত্ব” পদ-প্ৰতিপাদ বাপ্তির লক্ষণ-পাচটার অর্থ কি ? অবশ্য ইহাদের গৃঢ় তাৎপৰ্য্য এস্তলে আমরা ত্মালোচনা করিব না ; কারণ, সেকথা টীকা-মধ্যেই বিস্তৃত ও সুন্দর ভাবে কথিত হইয়াছে, আমরা এস্থলে ইহার একটি সংক্ষিপ্ত অর্থ বুঝিবার চেষ্টা মাত্ৰ করিব । প্রথম লক্ষণ-“সাধ্যাভাববাদ-আবৃত্তিত্বমূ” । ইহার অর্থ “সাধ্যাভাবাধিকারণ-নিরূপিত আধেয়তার অভাব।” আরও স্পষ্ট করিয়া বলিতে হইলে ইহার অর্থ “সাধোর যে অভাব, সেই অভাবের যে অধিকারণ,সেই অধিকরণ দ্বারা নিরূপণ করা যায় এমন যে আধেয়ত, সেই আধেয়তার অভাব হেতুতে থাকাই বাপ্তি ।” ਠP Pਤਲਵਿ Cਟ ਠ<-- পরন্তু এই কথাটা বুঝিতে হইলে নিম্নলিখিত কয়েকটি শব্দের অর্থবোধ অবশ্যক । “সাধ্য” শব্দের অর্থ-যাহ সাধন করা হয় । যেমন যেখানে বহ্নিীর অনুমিতি করিতে হয়, সেখানে সাধ্য হয় বহ্নি । “অধিকরণ” শব্দের অর্থ-আশ্রিয়। যাহার উপর অবস্তান করা যায়, তাত আশ্রয় ব। আদিকরণ । “আপেয়াত” শব্দের অর্থ-আধোয়ের ধৰ্ম্ম-বিশেষ । যাহ। কাহারে উপর অবস্থান করে তাহাই হয়—আধেয় । এই আধেয়ের ধৰ্ম্ম-আপেয়ােত । এই আধেয়ত, সুতরাং থাকে আধেয়ের উপর। “হেতু” = যাহার সাহায্যে অনুমিতি হয়। যেমন ধূম দেখিয়া বহির অনুমিতি কালে ধূমটী হয় হেতু । ইহার অপর নাম সাধন বা লিঙ্গ । লক্ষন-প্ৰকোপ-প্ৰণালনীএই বার আমরা দুইটি দৃষ্টান্তের সাহায্যে লক্ষণটির অর্থ বুঝিতে চেষ্টা করিব। তন্মধ্যে প্রথম দৃষ্টান্তটী এমন একটা দৃষ্টান্ত হওয়া উচিত, যাঁহাতে কোন ভুল নাই। কারণ নিভুল দৃষ্টাস্তের বাপ্তিতে যদি লক্ষণটি যায়, তবেই লক্ষণটাও নিভুল হইতে পরিবে। এবং দ্বিতীয় দৃষ্টান্তটী এমন একটী দৃষ্টান্ত হওয়া উচিত,যাহাতে ভুল আছে। কারণ,ভূল দৃষ্টাস্তের বাপ্তিতে যদি লক্ষণাটী না যায়, তাহা হইলে লক্ষণটাতে আর কোন দোেষই থাকিতে পরিবে না । এইরূপে উভয় প্রকার দৃষ্টাস্তের সাহায্যে লক্ষণটাকে প্ৰযুক্ত করিয়া বুঝিবার উদ্দেশ্য এই যে, অনেক সময় অনেক বিষয়ের অনেক লক্ষণ নিভুল দৃষ্টান্তে যেমন যায়, তদ্রুপ ভুল দৃষ্টান্তেও যায়। কিন্তু তাহা যাওয়া উচিত নহে, ইহা লক্ষণের দোষ। সুতরাং উভয় প্রকার দৃষ্টাস্তের সাহায্যে লক্ষণটীির অর্থ বুঝিতে পারিলে লক্ষণাটী ঠিক কিনা, তাহাও আমরা বুঝিতে পারিব।