পাতা:নব্য-ন্যায় (ব্যপ্তি-পঞ্চক) - রাজেন্দ্রনাথ ঘোষ.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S. ব্যাপ্তি-পঞ্চক-রহস্যম। দ্বিতীয় প্রকারটী এই— সাধ্যাভাবটীকে যদি সাধ্যতার অবচ্ছেদক যে সম্বন্ধ, সেই সম্বন্ধ দ্বারা অবস্থিায় যে প্ৰতিযোগিতা, সেই প্ৰতিযোগিতার নিরূপক অভাব এইমাত্র বলা হয়, অর্থাৎ যে সম্বন্ধে সাধ্য করা হয়, সেই সম্বন্ধে মাত্র যদি সাধ্যের অভাব ধরা হয়, কিন্তু যদি সাধ্যতার অবচ্ছেদক যে ধৰ্ম্ম, সেই ধৰ্ম্ম দ্বারা অবচ্ছিন্ন বলিয়া ঐ প্রতিযোগিতাকে বিশেষত করা না হয়, অর্থাৎ যে ধৰ্ম্ম-পুরস্কারে সাধ্য করা হয়, সেই ধৰ্ম্ম-পুরস্কারে যদি সাধ্যের অভাব ধরা না হয়, তাহা হইলে “বহ্নিমান ধূমাৎ” স্থলে সংযোগ-সম্বন্ধে বহ্নিকে সাধ্য করিয়া সাধ্যাভাব ধরিবার সময় সেই সংযোগ সম্বন্ধেই ধরা হয়, অথচ বহ্নি-সামান্যের অভাব না। ধরিয়া যদি কোন নির্দিষ্ট বহিস্থৰ-ধৰ্ম্ম দ্বারা অবচ্ছিন্ন সাধ্যনিষ্ঠ যে প্ৰতিযোগিতা, সেই প্ৰতিযোগিতা-নিরূপক অভাব ধরা হয়, অর্থাৎ বহ্নি-সামান্যের অভাব না। ধরিয়া যদি “সেই বহির অভাব” অর্থাৎ ‘মহানসীয় বহির অভাব” ইত্যাকার কোন নির্দিষ্ট বহ্নির অভাব ধরা হয়, তাহা হইলে সাধ্যাভাবের অধিকরণ ধরিবার সময় “সেই বহ্যভাবের” অথবা “মহানসীয় বহ্যভাবের” অধিকরণ বলিতে পর্বতকেও ধরিতে পারা যায়। কারণ, সেই বহি, বা সেই মহানসীয় বহি, পর্বতে নাই ; পরস্তু, যথাস্থানে বা সেই মহানসেই- থাকে। আর "ইহার ফলে ব্যাপ্তি-লক্ষণে অব্যাপ্তি দোষ হয় ; কারণ, সাধ্যাভাবাধিকরণ-পৰ্ব্বতে সংযোগ-সম্বন্ধে, হেতু ধূম থাকে, অর্থাৎ সাধ্যাভাবাধিকরণনিরূপিত বৃত্তিতাই হেতুতে থাকিল, বৃত্তিতার অভাব থাকিল না। কিন্তু যদি, যে সম্বন্ধে সাধ্য করা হয়, সেই সম্বন্ধে এবং যে ধৰ্ম্ম-পুরস্কারে সাধ্য করা হয়, ঠিক সেই ধৰ্ম্ম-পুরস্কারে সাধ্যের অভাব ধরা হয়, তাহা হইলে আর অব্যাপ্তি হইবে না । কারণ, বহ্নিত্ব-ধৰ্ম্ম-পুরস্কারে বহ্নিকে সাধ্য করা হইয়াছিল, এক্ষণে সাধ্যাভাব ধরিবার সময় সেই বহ্নিত্ব-ধৰ্ম্ম-পুরস্কারেই বহ্নির অভাব ধরা হইল। এজন্য সাধ্যাভাব যে “বহাগ্যভাব৷” তাহার স্থলে আর “কোন নির্দিষ্ট বহ্যাভাব” অর্থাৎ “মহানসীয় বহ্যাভাব” হইতে পরিবে না ; পর্যন্ত বহি-সামান্যেরই অভাব হইবে, অর্থাৎ পৰ্বত-চত্বর-গোষ্ঠ-মহানস প্রভৃতি যাবৎ-স্থলীয় বহির অভাব হইবে ; আর তাহার ফলে বহ্যাভাবাধিকৰণ পর্বতকে ধরিতে পারা যাইবে না, পরন্তু জলাহ্রদাদিকে ধরিতে হইবে ; কারণ, পৰ্ব্বতে সংযোগ-সম্বন্ধে বহি থাকে এবং জলাহ্রদাদিতে সংযোগ-সম্বন্ধে বহ্নি থাকে না, এবং ইহার ফলে ব্যাপ্তি-লক্ষণের অব্যাপ্তি দোষ ঘটিবে না। কারণ, সাধ্যাভাবাধিকরণ-জলহ্বদ-নিরূপিত বৃত্তিতা, মীনশৈবালা দিতে থাকে এবং ঐ বৃত্তিতার অভাব ধূম হেতুতে থাকে। সুতরাং, সাধ্যতাবচ্ছেদক-ধৰ্ম্মাবছিন্ন প্ৰতিযোগিতাক অভাব বলা আবশ্যক । উপরি উক্ত দ্বিতীয় প্রকারে যেমন বহ্নিত্বরূপে বহিকে সাধ্য করিয়া বহৃ্যভাৰ BBDD BDL DD DDD DB DBDDBDD DD BBBDS LYS BD DD YK -এতদুভয়ত্ব দ্বারা অবচ্ছিন্ন বহ্নি-নিষ্ঠ-প্ৰতিযোগিতাক অভাব ধরা যায়, অর্থাৎ বহ্নি ও অল