পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৷৴৹

সম্রাট পর্য্যন্ত, বালিকা হইতে বৃদ্ধা পর্য্যন্ত সকলেই একস্বরে “স্বদেশ” “স্বদেশ” বলিয়া চীৎকার করিতেছে, সে জাতির জন্য আশঙ্কা নাই।”

 আমরা বঙ্গদেশবাসী ভীরুঅপবাদগ্রস্থ বাঙ্গালী; একতা, আত্মত্যাগ, স্বদেশানুরাগ প্রভৃতি শব্দের প্রকৃত অর্থ হৃদয়ঙ্গম করিতে পারি না। আমাদের প্রধান ভরসা ইংলণ্ড ও আমেরিকা। পঞ্চবার্ষিক সন্ধি অনুসারে ইংলণ্ড কিছুতেই রুষকে ম্যানচুরিয়া গ্রাস করিতে দিবেন না। আমেরিকা কোন ক্রমেই প্রশান্ত মহাসাগরে রুষাধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হইতে দিবেন না। পৃথিবীর এই দুই মহাশক্তির স্বার্থের সহিত জাপানের স্বার্থ অভিন্ন, ইহাই আমাদের প্রধান ভরসা। কিন্তু যদি রাজনৈতিক কারণে ব্রিটিশ মন্ত্রীরা জাপানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন পূর্ব্বক গম্ভীর হইয়া বসেন, মার্কিণ বন্ধুরা বেদান্তের উপদেশ প্রদান করিতে করিতে প্রশান্ত মহাসাগরে পাড়ি মারিবার সংকল্প করেন, তাহা হইলে জাপান কি করিবে?

 পূর্ব্বে বলিয়াছি, আমরা জাপানকে ভালবাসি, জাপানের নরনারিগণকে অতি নিকট আত্মীয় বলিয়া মনে করি। বলা বাহুল্য, এই জন্য বহু অর্থ ব্যয় ও শ্রমস্বীকার পূর্ব্বক এই ক্ষুদ্র ইতিবৃত্ত সঙ্কলন করিয়াছি। ইহাতে জাপানের ভৌগােলিক ও ঐতিহাসিক বৃত্তান্ত, জাপানিগণের রীতিনীতি, আচার ব্যবহার, ধর্মবিশ্বাস, শিক্ষাপ্রণালী, শাসনপদ্ধতি প্রভৃতি বিবিধ বিষয় সংক্ষেপে বিবৃত হইয়াছে। বঙ্গের অমর কবি তাঁহার সর্ব্বশ্রেষ্ঠ গীতিকবিতায় যাহাকে “অসভ্য জাপান” বলিয়া উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন, সেই জাপান কি কৌশলে পৃথিবীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ, পরাক্রমশালী ও