পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩৪
নব্য জাপান

জানিতেন না। ইনি স্বদেশে প্রত্যাগত হইয়া সর্ব্বপ্রথমে ইয়ুরােপের অনুকরণে জাপানে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন করেন। এই বিদ্যালয় এক্ষণে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিত সংযুক্ত হইয়াছে। ইহাঁরই অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রাচীন জাপান জীর্ণবাস পরিত্যাগ করতঃ নূতন বস্ত্র পরিধান করিয়াছে।

 আইটো রাজনীতি ও শিক্ষাপ্রণালীর সংস্কার সাধনে উদ্যোগী হইলে জাপানের রক্ষণশীলদল তাঁহার ভীষণ শত্রু হইয়া উঠে। পরিশেষে এই শত্রুতা এত প্রবল হইয়াছিল যে একদিন অপরাহ্নে চা-গৃহে গমনকালে ইনি পথিমধ্যে শত্রুগণের হস্তে আক্রান্ত হন। একটী জাপানীবালিকা নিজ কুটীরে আশ্রয় দিয়া সে যাত্রা তাঁহার জীবন রক্ষা করে। আশ্চর্য্যের বিষয় আইটো কিছুদিন পরে এই দয়াবতী রমণীকে পত্নীরূপে প্রাপ্ত হয়েন।

 মার্কুইস মহােদয় এক্ষণে প্রাচীন হইয়াছেন। জাপানবাসিরা ইহাঁকে দেবতার ন্যায় ভক্তি ও শ্রদ্ধা করিয়া থাকে। ইনি এক্ষণে সম্রাটের বিশেষ অনুরােধে কোরিয়া রাজ্যে জাপান রাজপ্রতিনিধির কার্য্য করিতেছেন।

 মার্কুইস আরিযোশী ইয়ামাগাটা।——জাপানের সর্ব্বপ্রথম সেনাপতি। ইহাঁর বিদ্যা, বুদ্ধি ও বিক্রম অসাধারণ। বয়ষ ৭২ বৎসর হইলেও মার্কুইসের দেহের ও মনের তেজ অদ্যাপিও হ্রাস হয় নাই। ইনি এক্ষণে ফিল্ডমার্শাল উপাধি ধারণ করিয়া স্বদেশের সৈন্যগঠন কার্য্যে নিযুক্ত আছেন।

 কাউণ্ট কাটসুরা।——গত রুষ জাপান যুদ্ধের সময়ে ইনি জাপানের “দৈজো-দেজিন”, অর্থাৎ প্রধান মন্ত্রিপদে